নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): অস্কারের দৌড়ে জায়গা করে নিয়েছিল বাঙালি তরুণ পরিচালক শৌনক সেনের তথ্যচিত্র ‘অল দ্যাট ব্রিদস’। আশায় বুক বেঁধেছিল গোটা বাঙালি জাতি। সেরা ফিচার তথ্যচিত্র বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল শৌনকের এই ছবি। তবে অস্কার যেন অধরাই রয়ে গেল বাঙালির। এই বিভাগ অস্কারের শেষমেশ সেরার শিরোপা পেল ‘নাভালনি’।
সিনে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান ‘দ্য অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’। লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে আয়োজন করা হয়েছিল ৯৫তম অস্কারের। এখানেই সেরা ডকুমেন্টারি ফিচার ফিল্ম বিভাগে মনোনীত হয়েছিল সৌনকের ছবিখানা।
দিল্লির প্রত্যন্ত গ্রাম ওয়াজিরাবাদে একটি পরিত্যক্ত বেসমেন্টে থাকা দুই ভাইয়ের গল্প উঠে এসেছে ‘অল দ্যাট ব্রিদস’-এ। মহম্মদ সৌদ এবং নাদিম শেহজাদ, অদ্ভূত তাঁদের জীবনের নেশা, জীবন আহত পাখিদের উদ্ধার করতে এবং তাদের সেবা শুশ্রুষা করতে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। মূলত চিলদের বাঁচানোই এই দুই ভাইয়ের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। সেইসূত্র ধরেই শৌনকের এই ডকু-ফিচার মোড় নেয় অন্য খাতে। শৌনকের তথ্যচিত্রটি মোট ৯০ মিনিটের। আসলে প্রত্যেকটা জীবনেরই যে সমানমূল্য রয়েছে তাই এই তথ্যচিত্রে তুলে ধরেছেন পরিচালক। অস্কার জেতা না হলেও শৌনকের এই ছবি ২০২২ সালে কান-এ পুরস্কৃত হয়েছিল।
এর আগে বাঙালির অস্কার বলতে সত্যজিৎ রায়ের সারা জীবনের সম্মান। তাতে অবশ্য প্রতিযোগিতার কোনও অবকাশ ছিল না। সত্যজিতের আজীবনের কাজের স্বীকৃতির জন্য তাঁকে ওই পুরস্কার দিয়েছিল অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার্স। তার পর ২০২১ সালে বাঙালি সুস্মিত ঘোষের তৈরি তথ্যচিত্র ২০২২ সালের অস্কার পুরস্কারের জন্য লড়াইয়ে মনোনীত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিকে ছেঁড়েনি। এ বারও শিঁকে ছিঁড়ল না বাঙালির।