নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): আরও প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে আদানি গ্রুপকে নিয়ে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ফার্ম থেকে পদত্যাগ করলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভাই লর্ড জো জনসন। নন এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর শিপ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
গত বুধবারই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। নিজের ইস্তফার কতা স্বীকার করলেও গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ওঠা জালিয়াতির অভিযোগেই তার এমন সিদ্ধান্ত কিনা তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি জো জনসন। যে সংস্থা থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন সেই ইলারা ক্যাপিটালের কর্ণধার রাজ ভাট এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।
প্রধানত, বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থার জন্য বিদেশ থেকে তহবিল জোগাড় করে এই ব্রিটিশ সংস্থাটি। এই সূত্রেই আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ ইলারার। জানা গিয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর এফপিও’র সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল এই সংস্থাটি। এবং আদানি ও ইলারার এই সম্পর্ক শুরু হয় জো-র হাত ধরেই। শীর্ষকর্তা হিসেবে বিষয়টির দায়িত্ব দেওয়া হয় জো-কে। দায়িত্ব গ্রহণ করার সময়ে সংস্থাকে জো জানিয়েছিলেন, আদানি গোষ্ঠীর এফপিও প্রক্রিয়ার অংশ হলে আর্থিক দিক থেকে ইলারা অনেক লাভবান হবে। গত জুনে ইলারা ক্যাপিটালের নন এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন জো। সংস্থার শীর্ষ পদের দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আশা করি, আমাদের সংস্থা ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্য সম্পর্কের অংশীদার হতে পারবে।’’
ইতিমধ্যেই ইলারা ক্যাপিটালের কাজকর্ম নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকরা। ইলারার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, মরিশাস থেকে বেআইনি ভাবে লগ্নি এনে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর বাড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। আর তাই তড়িঘড়ি ইস্তফা দিয়ে বরিস জনসনের ভাই বিতর্ক এড়াতে চেয়েছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
গত ২৪ জানুয়ারি আমেরিকান সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’ টুইটারে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করে, কারচুপি করে এত ধনী হয়েছেন গৌতম আদানি। শেয়ার বাজারে তাঁর বিভিন্ন সংস্থার যা অবস্থান, তার অনেকটাই তৈরি করা, সাজানো। হিন্ডেনবার্গের সেই রিপোর্টের কড়া নিন্দা করে পাল্টা বিবৃতি জারি করলেও তখন থেকেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার পড়তে শুরু করে। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে ইলারা ক্যাপিটালের নামও উল্লিখিত ছিল।