নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়):নিয়োগ-দূর্নীতি মামলায় নতুন মোড়। ইডি সূত্রের দাবী, ওএমআর শিটে দুর্নীতি চলছিল কুন্তল-মানিক যুগলে। ওএমআর শিটে কোড সাইন ব্যবহার করে দুর্নীতি চলত। কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদে এমনই বিস্ফোরক তথ্য আসে। তাহলে কি তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সাহায্যেই দুর্নীতি চলত?ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষ তাঁর সাত-আটজন আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ওএমআর শিট থেকে তিনি এ তথ্য পেয়েছেন। এখন তাদের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। অন্যদিকে, ইডি আধিকারিকদের আরও দাবী, পার্থ-মানিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অনুমোদন পাইয়ে দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন। ইডি জানিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্য বেসরকারি বিএড কলেজ, ডিএলএড কলেজ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অনুমোদন এবং এনওসি পাইয়ে দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন। তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ছিল ৬-৮ লাখ টাকা। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তত্কালীন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিতেন।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের সময়, ইডি-র হাতে বড় নেতা ও মন্ত্রীদের নাম সামনে উঠে এসেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের নাম। এরপর কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতির মতো কয়েকজনের নাম উঠে আসে। প্রথমে গোপালের সন্ধান না পেলেও পরে নিজেই ধরা দেন গোপাল দলপতি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেই ইডি অফিসে ফোন করে জানান যে তিনি কলকাতায় রয়েছেন। তার বয়ানও রেকর্ড করাতে চান গোপাল দলপতি। একই সঙ্গে গোপাল দলপতি দাবী করেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের করা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এদিকে আধিকারিকরা মানিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি সিভি বাজেয়াপ্ত করে। সেই সিভির ভিতরে একটি ফোল্ডার ছিল যেখানে ৪০০০ প্রার্থীর নাম ছিল। এর মধ্যে ২৫০০ জন চাকরি পেয়েছেন। তবে মানিককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমি কিছু জানি না।”