নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): কোভিডে শিশুদের সেরকম কোনো ক্ষতি হয়নি কিন্তু এইবার শিশুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা। ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যাডিনো ভাইরাসের আক্রমণে নাজেহাল শিশুরা। বাদ যায়নি বড়রাও। অ্যাডিনো ভাইরাসে কাবু সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ। দু’বছর থেকে দশ বছরের শিশুদের মধ্যেই এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে।গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সংক্রমণ এতটাই বেড়েছে যে সরকারি থেকে বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালেই শিশু রোগী ভর্তির জায়গা পাওয়াই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ দিব্যেন্দু রায়চৌধুরী জানিয়েছেন “করোনা ভাইরাসে যা হয়নি, তাই ঘটছে অ্যাডিনো ভাইরাসে।”সঙ্গে যোগ হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস – H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা যা পরিচিত হংকং ফ্লু (Hong Kong Flu) নামে।মানবদেহের শ্বাসযন্ত্র অর্থাৎ ফুসফুসে আক্রমণ করে এটি। Influenza A ভাইরাস-এরই একটি সাবটাইপ এই ভাইরাস।ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও সমান ভাবে এর শিকার হচ্ছে। কোভিডের উপসর্গের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে যেমন – একসঙ্গে জ্বর, গলা ব্যথা,কাশি। অনেক ক্ষেত্রে কাশির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
গায়ে ব্যথা,শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা এবং অসম্ভব ক্লান্তিও অনুভব করছেন অনেকে, ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গও যোগ হয়েছে। এর থেকে নিজেকে বাঁচাতে ডাক্তারেরা পর্যাপ্ত জল পান করতে,মাস্ক ব্যবহার করতে ও নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলেছেন।বিশেষজ্ঞদের মতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুরা একসাথে জোড়া ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। যেমন- অ্যাডিনো ভাইরাসের সঙ্গে রাইনো ভাইরাস বা মেটা নিমো ভাইরাস বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। অনেক ক্ষেত্রে একটি ভাইরাসের আক্রমণ থেকে সেরে উঠতে না উঠতে আরেকটি ভাইরাস আক্রমণ করছে।
তাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস সহ ভাইরাস ককটেল , হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে শিশু রোগীদের ভিড়।চিকিৎসকদের মতে এই সংক্রমণের দাপট অন্তত মার্চ পর্যন্ত চলবে।
তাই শিশু ও তার পরিবারের লোকদের আরও সর্তক থাকতে হবে। রাজ্যজুড়ে সিংহভাগ বাচ্চার মধ্যে জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী এই অ্যাডিনো ভাইরাস ককটেলকে চিহ্নিত করা হয়েছে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা।