নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে দিল্লির রাজঘাটে মেগা সত্যাগ্রহ শুরু করল কংগ্রেস। রবিবার দিনভর একেবারে শীর্ষস্তরের কংগ্রেস নেতারা রাজঘাটে অবস্থান করবেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা। রাজঘাটের সামনে অসংখ্য কংগ্রেস কর্মীও জড়ো হয়েছেন।
রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সত্যাগ্রহ পালন করবে কংগ্রেস নেতৃত্ব। দেশের নানা প্রান্তে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। দিল্লির রাজঘাটে কংগ্রেসের জমায়েতের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তা সত্ত্বেও প্রিয়াঙ্কা, খাড়গেরা সেখানে জড়ো হয়েছেন।
রাজঘাটে কংগ্রেসের জমায়েত এবং অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, কংগ্রেসের আন্দোলনের ফলে রাজধানীতে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে। ফলে যানজটের পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। সেই কারণেই সত্যাগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়নি। রাজঘাট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পেলেও কর্মসূচি বাতিল করেনি হাত শিবির। এদিন সকালেই রাজঘাটে বহু কংগ্রেস কর্মী জোড়ো হয়ে গিয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দলের একেবারে শীর্ষস্তরের নেতারাও সংকল্প সত্যাগ্রহে পৌঁছান। এরপর দিল্লি পুলিশ কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে কিনা সেটাই দেখার।
ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আইন অনুযায়ী, যে কোনও সাংসদ বা বিধায়ক কোনও নির্দিষ্ট মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে এবং তাঁর দুই বা ততোধিক বছরের সাজা হলে তৎক্ষণাৎ সাংসদ বা বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যায়। ‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের জেলের সাজা শোনায় গুজরাতের সুরত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে পদ হারিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।