নিজস্ব প্রতিনিধি(সতী কুমার): সিদ্ধার্থ-কিয়ারার রাজকীয় বিয়ের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা দেশ। মঙ্গলবার রাজস্থানের জয়সলমেরের সূর্যগড় দূর্গে পরিণতি পেয়েছে সিদ্ধার্থ-কিয়ারার প্রেম কাহিনি। গত কয়েক মাস ধরে এই বিয়ে বিয়ে নিয়ে কমচর্চা হয়নি। শেষমেশ শুভকাজটা সেরে ফেলেছেন ‘শেরশাহ’ জুটি। বিয়ের পর্ব মেটবার পর অপেক্ষা ছিল অফিসিয়্যাল ছবির। রাত গড়াতেই ভক্তদের সঙ্গে রূপকথার বিয়ের টুকরো ঝলক শেয়ার করে নেন নবদম্পতি।মণীশ মালহোত্রার নকশা কাটা লেহেঙ্গায় অপরূপা লাগল কিয়ারাকে। সঙ্গে হিরে-পান্নার গয়নায় সেজেছিলেন সিদ্ধার্থ ঘরণী। তবে সব সাজের মাঝে অনুরাগীদের নজর কাড়ল কিয়ারার গোলাপি চূড়া এবং তা থেকে ঝুলন্ত কলিরে। পাঞ্জাবি কনের সাজ অসম্পূর্ণ চূড়া আর কলিরে ছাড়া। আসলে বাঙালি কনেরা যেমন শাঁখা-পলা পরে, তেমন পাঞ্জাবি রীতিতে চূড়া-কলিরে পরার চল আছে। কিয়ারার এই কলিরের চমক নজর এড়াল না কারুর।
হাতের কলিরে জোড়াতে ছিল নতুনত্বের ছোঁয়া। লাল-সাদার বদলে ছক ভেঙে সোনালি এবং রুপোলি রঙের চাঁদ আর তারার সমাহার তাতে। সঙ্গে ছোট ছোট প্রজাপতি উড়ছে চারদিকে। তাতে রয়েছে দম্পতির নামের আদ্যক্ষর, দু’জনের প্রিয় পর্যটনস্থল প্যারিসের আইফেল টাওয়ার এবং সিদ্ধার্থের সবচেয়ে প্রিয়, তাঁর মৃত পোষ্য ‘অস্কার’-এর মুখের ছাঁচে বানানো কলিরেটি শোভা পাচ্ছিল কিয়ারার হাতে। সব মিলিয়ে দু’জনের প্রেমজীবনের সাক্ষী নানা ঘটনার ছোট্ট সংস্করণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন কিয়ারা।
গত বছরই প্রয়াত হয়েছে অস্কার। সিদ্ধার্থ ভক্তদের নজর এড়ায়নি কিয়ারার এই বিশেষ উদ্যোগ। নায়িকাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এই কলিরে নকশা করেছেন মৃণালিনী চন্দ্র নামে এক শিল্পী। বলিপাড়ার বহু নতুন বৌয়ের হাতের এই গয়নাই তাঁর তৈরি। কিয়ারার আগে আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ, আথিয়া শেট্টির হাতেও শোভা পেয়েছে তাঁর নকশা করা কলিরে। তাঁর কথায়, ‘কলিরে তো প্রেম কাহিনির প্রতীক। কিয়ারার কলিরেও ছিল একদম জাদুতে ভরপুর। সূর্য, চাঁদ, দম্পতির আদ্যক্ষর সবই ছিল। তবে সবচেয়ে সুন্দর বিষয় ছিল এই কলিরেতে সিদ্ধার্থের প্রিয় পোষ্যের মুখ।’