নিজস্ব সংবাদদাতা সম্পা ঘোষ :দমদম রোডে হনুমান মন্দির সংলগ্নে নর্থ পয়েন্ট ডে স্কুলের ভগ্ন দশা। ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠনে অসুবিধা হচ্ছে দাবি করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক শিক্ষিকারা ও অভিভাবকেরা। যাতে ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠনের অসুবিধা না হয় পুণরায় স্কুলটিকে নির্মাণ করার প্রস্তুতি হচ্ছে। নস্কুলটি পুনরায় নির্মাণ হওয়া প্রযন্ত স্কুলের পাশের একটি জায়গাতে অস্থায়ীভাবে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করতে চলেছে। ইতিপূর্বে দক্ষিণ দমদম পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বাধা সৃষ্টি করে ওই জায়গায় পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা যাবে না জানিয়ে । কিন্তু দক্ষিণ দমদম পৌরসভা আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে আসেন। এসে কাগজ পত্র দেখে তারা মৌখিক বলে যায় এইখানে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা যাবে। এর আগেও স্কুলটি দুবার পুড়ে যায়, কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয় অভিযোগ করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের নির্মাণ ও পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছিলেন।
স্কুলের গেটে একটি কোর্টের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সোমবারেই কাজ শুরু করতে চলেছিল নর্থ পয়েন্ট ডে স্কুল। এই কাজে বাধা সৃষ্টি করে কে বা কারা,সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ওই কোর্টের নোটিশটি ছিড়ে ফেলে নিয়ে যায়। নর্থ পয়েন্ট স্কুল কর্তৃপক্ষরা তখনই নাগরবাজের পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করে। পুলিশ আশ্বাস দেন ওখানে স্কুলের নির্মাণের কাজ করতে পারবে ও অস্থায়ী পঠন পাঠন করতে পারবে। সামনেই পরীক্ষা তাই পঠন পাঠন বন্ধ করা যাবে না জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক শিক্ষিকারা। তারা এও জানালেন, স্কুল সংলগ্ন যে হনুমান মন্দিরটি আছে মন্দির মন্দিরের মতোই থাকবে। পুজো অর্চনা চলবে। মন্দির ও একটি প্রতিষ্ঠান স্কুল ও একটি প্রতিষ্ঠান। দুই প্রতিষ্ঠানই একইভাবে চলবে।
কাগজ কলমে স্কুলেরই জায়গা বলে দাবি করলেন। এই নর্থ পয়েন্ট ডে স্কুলে প্রচুর সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী পঠন পাঠন করে। সামনেই পরীক্ষা। স্কুল নির্মাণ চলাকালীন যদি পঠন পাঠন বন্ধ থাকে তাহলে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হতে পারে জানালেন এক স্কুল ছাত্রের অভিভাবক।
মন্দির মন্দিরের মতোই থাকবে ও স্কুল স্কুলের মতোই থাকবে। পড়াশোনাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎকে গড়ে তোলে। এখন দেখার পালা দক্ষিণ দমদম পৌরসভা কী পদক্ষেপ নেয়।