নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নিচে ‘সততার প্রতীক’ না লিখতে পারায় আক্ষেপ ঝড়ে পড়ল রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর কন্ঠে। রবিবার দিনহাটার চৌধুরীর হাট এলাকায় এক সংখ্যালঘু কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন জানান, কয়েকজন নেতার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর হোর্ডিং-ফ্লেক্সের তলায় ‘সততার প্রতীক’ লিখতে পারেন না। যদিও এই কয়েকজনের তালিকায় নিজেকেও রেখেছেন উদয়ন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মতো কিছু উদয়ন গুহ থাকার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্লেক্সের নীচে সততার প্রতীক লিখতে পারছেন না।’
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবির নিচে ‘সততার প্রতীক’ লিখে ছড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু একে একে সারদা-নারদা সহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে দলগত ভাবে তৃণমূল জড়িয়ে যাওয়ায় আর সততার প্রতীক লেখা সেই হোর্ডিং দেখতে পাওয়া যায় না। বরং মমতাকে ‘সততার প্রতীক’ বানানোয় তৃণমূলকে কটাক্ষে বেঁধেন বিরোধীরা। বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতির আবহে সেই প্রসঙ্গ তুলে এনে উদয়ন বোঝাতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, বরং এই পরিস্থিতির জন্য দায়ি কিছু নেতা। উদয়ন বলেন, ‘আমরা কাউকে চাকরি দেব বলে টাকা নিয়েছি। কাউকে ঘর দেব বলে টাকা নিয়েছি। এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্নাম হচ্ছে।’ এরপরই শুদ্ধিকরনের বার্তাও দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। জানান, তিনি থাকলে এই ধরনের লোকেরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে সামনের সারিতে আসতে পারবে না। এরজন্য সবকিছু ছেড়ে দিতেও রাজি বলে জানান উদয়ন। কিন্তু কোনও ভাবেই এদের সঙ্গে সমঝোতা করা যাবে না বলে সাফ জানান তিনি। যদিও উদয়নের এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিক ভাবেই কটাক্ষের তির ধেয়ে এসেছে বিরোধীদের থেকে। বিরোধীরা জানিয়েছেন, দুর্নীতিতে গলা অবধি ডুবে গেছে তৃণমূল, তাই এখন বোধোদয়ের নাটক করছেন মন্ত্রী। মানুষ সবটাই দেখছে।