নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): জামিন হল না আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সহ ১৫ জন আইএসএফ কর্মীর। ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের আদালতে তোলা হবে নওশাদকে।
পুলিশ হেফাজতের পর এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় আইএসএফ বিধায়ককে। সওয়াল জবাব চলাকালীন তারঁ আইনজীবী জানান, নওশাদ সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের সঙ্গে যুক্ত নন। আন্দোলন করার অধিকার সবার রয়েছে। এই বলে তিনি নওশাদের জামিনের আবেদন করেন। সরকারি আইনজীবী বসেন, সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। জামিন দেওয়া উচিত নয়। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারক ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সরকারি আইনজীবীর দাবি, নওশাদের দু’টি মোবাইল থেকে একাধিক প্রভাবশালীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাটের হদিশ মিলেছে। ওই চ্যাটগুলিতে কোটি কোটি টাকা হাওলায় লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে। ওই টাকা একাধিক অফিসার-সহ কাদের পাঠানো হয়েছে, সেই তথ্য জানার জন্য দু’টি মোবাইল ফরেনসিকে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি ভাঙড়ে গুলি চলাকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। তার পরদিন ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় দলীয় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। অভিযোগ, সেই সময় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। তার প্রতিবাদে ধর্মতলায় অবরোধ শুরু করে আইএসএফ। ব্যস্ততম রাস্তায় অবরোধ হঠাতে এগিয়ে আসে পুলিশ। তারপর আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ কার্যত খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে পুলিশ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ মোট ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়।