নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়); বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালের ২০ মে রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতাকে প্রথম চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। এর পর কম জল ঘোলা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের নাগপাশে আবদ্ধ হয়েছে শাসক দলের তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীরা। একের পর এক শুনানিতে শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি খুইছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক,নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। সর্বমোট হাই কোর্টের নির্দেশে এখনো পর্যন্ত চাকরি খোয়ালেন মোট ৪,৭৮৪ জন।২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে এসএসসির গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ জন কর্মীর চাকরি যায়। এদের সকলকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে চাকরি যায় নবম – দশম শ্রেণীর ৬১৮ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের। পরে আরও ১৫৭ জন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ৯৫২ জনের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে।অভিযোগকারিরা দাবি করেছিল ওএমআর শিট বিকৃতি করে চাকরি পেয়েছিল তারা। বিচারে অভিযোগকারিদের পক্ষে রায় দেয় আদালত এবং ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের রায় মেনে ৬১২ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।