নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়)রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেওয়ার পর এই প্রথম দ্রৌপদী মুর্মুর প্রথম কলকাতা সফর। আর তাঁকে কেন্দ্র করেই গোটা কলকাতায় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়ে রাজ্যের তরফে পোস্টার – ব্যানার দিয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের তরফে দেওয়া হবে বিশেষ সংবর্ধনা দেশের নয়া রাষ্ট্রপতিকে। তার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার।
কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টারে করে ময়দানের রেসকোর্স হেলিপ্যাড পৌঁছাবেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর রেসকোর্স হেলিপ্যাড থেকেই সড়ক পথে তিনি যাবেন নেতাজি ভবন। দুপুর ১২:৫৫ মিনিট নাগাদ নেতাজি ভবনে পৌঁছে মোট কুড়ি মিনিট থাকার কথা রাষ্ট্রপতির।
মোট কুড়ি মিনিট নেতাজি ভবনে থাকার পর দুপুর ১:২৫ মিনিট নাগাদ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি যাওয়ার কথা রাষ্ট্রপতির। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির বিচিত্র ভবন, প্রয়াণ কক্ষ পরিদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি। পরিদর্শন করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতিকে কিছু ছবি ও স্মারক তুলে দেবেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে সড়কপথে রাজভবন যাওয়ার কথা রাষ্ট্রপতির। দুটো থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত রাজভবনেই থাকবেন রাষ্ট্রপতি। এরমধ্যে বিকেল চারটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত রাজভবনে একটি বিশেষ বৈঠক করার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতির। তারপর বিকেল ৪:৪০ মিনিট নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে ইন্ডোর স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন রাষ্ট্রপতি। বিকেল ৪:৫০ মিনিট নাগাদ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। সন্ধ্যা ছটা নাগাদ নেতাজি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে তিনি বেরিয়ে রাজভবন পৌঁছাবেন।
রাত আটটা থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনে বিশেষ ডিনারের ব্যবস্থা রেখেছেন রাষ্ট্রপতির জন্য। সেখানেও যোগ দেওয়ার কথা রাষ্ট্রপতির। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালেই বেলুড় মঠের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন রাষ্ট্রপতি। বেলুড় মঠের স্বামীজীর ঘর, রাজা-মহারাজের ঘর পরিদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখবেন। বেলুড় মঠ থেকে তারপর সায়েন্সসিটি অডিটোরিয়াম এর উদ্দেশ্যে ও রওনা দেবেন রাষ্ট্রপতি। সায়েন্সসিটি অডিটোরিয়ামে একটি ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি রওনা দেবেন বীরভূমের শান্তিনিকেতনের উদ্দেশ্যে।