Sunday, September 15, 2024
HomeUncategorizedজলপাইগুড়ি-কাণ্ডে জামিনে মুক্ত অঙ্কুর দাস, জানালেন প্রভাবশালীর নির্দেশেই গ্রেফতার হয়েছিলাম

জলপাইগুড়ি-কাণ্ডে জামিনে মুক্ত অঙ্কুর দাস, জানালেন প্রভাবশালীর নির্দেশেই গ্রেফতার হয়েছিলাম

নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়)দেহ কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জামিন পেলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাস।জামিনে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে গুরুতর অভিযোগ করলেন তিনি । জানালেন, কোনও প্রভাবশালীর নির্দেশেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল । এমনকী পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে চাপ দেওয়া হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের নাম এর সঙ্গে জড়াতে । এদিন জামিনে মুক্তি পেয়ে এমনই অভিযোগ করেছেন অঙ্কুর দাস । যদিও, পুলিশ এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ।

উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত লক্ষ্মীরানি দেওয়ানের দেহ কাঁধে বয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী এবং ছেলে । অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ ও ওয়ার্ড মাস্টার দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেনি । এমনকি হাসপাতালের বাইকে থাকা বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা 3 হাজার টাকা চেয়েছিল । সেই টাকা দিতে না পারায়, লক্ষ্মীরানি দেওয়ানের দেহ কাঁধ বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা । রাস্তায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাস বিষয়টি দেখলে সাহায্য় করেন ।

পরবর্তী সময়ে 10 জানুয়ারি অঙ্কুর দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ । জানা যায়, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে নাকি, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে । এনিয়ে অঙ্কুর দাস প্রশ্ন তুলেছেন, যাঁরা মৃত লক্ষ্মীরানি দেওয়ানের পরিবারের থেকে অতিরিক্ত টাকা চাইলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিল না কেন ? উলটে তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল ? অঙ্কুর দাসের অভিযোগ, তাঁকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে ।

তাঁর আইনজীবী সন্দীপ দত্ত জানিয়েছেন, এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা জেলা স্বাস্থ্য দফতর কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি । অভিযোগ করেছে হাসপাতাল চত্বরে থাকা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সংগঠন । বরং তাদের হাসপাতাল চত্বরে এভাবে ব্যবসা করার কোনও অধিকার নেই বলে দাবি করেছেন অঙ্কুর দাসের আইনজীবী । এদিন তাঁকে আরও 5 দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ । কিন্তু, সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments