নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): ফের খারিজ হয়ে গেল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর জামিনের আবেদন। বুধবার নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা অশান্তির মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক শৌনক মুখোপাধ্যায় আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আসমা খাতুন নামে এক অভিযুক্তকে অবশ্য জামিন দেওয়া হয়েছে।
তবে অন্য এক মামলায় জামিন না হওয়ায় তাকে জেল হেফাজতে থাকতে হবে। বাকি পাঁচ অভিযুক্তকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। সেই হিংসার আঁচ এসে পড়ে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায়। ক্ষমতা দেখাতে রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি পুলিশের উপরে চড়াও হয় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধর্মতলা চত্বর। নওশাদ বাহিনীর তাণ্ডবে আহত হন ডিসি দক্ষিণ আকাশ মাঘারিয়া সহ কলকাতা পুলিশের একাধিক অফিসার ও কর্মী। রণংদেহী আইএসএফ সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। ঘটনায় নওশাদ সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে ২১ জানুয়ারি ধর্মতলার অশান্তির ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্ত বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জামিনের আবেদন জানাতে গিয়ে যুক্তি দেখান, ‘তদন্ত শেষ। চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটে ৩০৭ ধারার উল্লেখ আছে, যা ঘটনাস্থলে ঘটেনি।’ সরকারি আইনজীবী অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, ‘চার্জশিট জমা পড়েছে। আঘাত না থাকলেও ৩০৭ দেওয়া যায়।’ দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারক শৌনক মুখোপাধ্যায় নিউ মার্কেট থানার মামলায় নওশাদ সিদ্দিকীর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।