নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়):ফাটল-যন্ত্রণায় ভুগছে জোশীমঠের মতো উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু শহর। এই শহর গুলি হল ঋষিকেশ, নৈনিতাল, মুসৌরি, তেহরি গাড়ওয়াল, কর্ণপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ এবং আলমোড়াতেও। এইসব শহরের বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে। উত্তরাখণ্ডের একটা বড় অংশে এই ফাটলগুলি আরও ভয় ধরাচ্ছে। এই শহরগুলি বা তাদের অংশগুলির হ্রাস ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এর বাইরে দেশের দুই মহানগরও ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু ভারতের উত্তরাখণ্ডেই যে ভূমি হ্রাসের ঘটনা সামনে আসছে তা নয়।পৃথিবীতে শুধু জোশীমঠই ডুবছে না। বিশ্বের আরও ৩৬টি শহরও ডুবে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ভারতের উপকূলীয় শহর মুম্বই এবং কলকাতাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। প্রকৃতপক্ষে, ভূমি হ্রাস সংক্রান্ত দুটি প্রক্রিয়া রয়েছে।
প্রথম জোশীমঠের মতো পাহাড়ের মাটি যেন ভিতর থেকে ফাঁপা হয়ে যায়। তাই সেই শহর ওপর থেকে নীচে পড়ে গেল। দ্বিতীয়ত, উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত কোনও শহর বা শহর থেকে বোরিং করে যদি বেশি জল তুলে নেওয়া হয় তবে জমি ভেতর থেকে ফাঁপা হয়ে যাবে।
তাই এই শহর দুটিও ডুবে যেতে পারে। কর্ণপ্রয়াগের বহুগুনা নগর এবং আইটিআই কলোনি এলাকায় ২৪টিরও বেশি বাড়িতে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঋষিকেশের আটলি গ্রামে প্রায় ৮৫টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।