নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল নাকি তাঁকে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বীরভূমের অখ্যাত তৃণমূল নেতা শিব ঠাকুর মণ্ডল।
তাঁর দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে সাতদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে থাকতে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই শিবঠাকুর মণ্ডলের স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠল এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি করেন শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল।
কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি করলেও লিপিকা মণ্ডল কোনও দিনই টেট পরীক্ষাই দেননি। এরই মধ্যে বারবার তাঁর বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের ভুল পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মেজে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী লিপিকা। স্থানীয়রা বলছেন, লিপিকা কবে টেট দিয়েছেন তা কারও জানা নেই। এক সময় বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান পদে ছিলেন শিবঠাকুর মণ্ডল। সেই পদে থাকাকালীন স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু মানুষের থেকে টাকা নিয়েছিলেন শিবঠাকুর মণ্ডল। তখনই স্ত্রী লিপিকাকে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দেন তিনি। বুধবার লিপিকা মণ্ডলকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি রেগে যান। কিছুক্ষণ পরেই সেখানে পৌঁছে যান শিবঠাকুর মণ্ডল। তিনি অবশ্য বলেন, তাঁর স্ত্রী নিয়ম মেনেই স্কুলের চাকরি পেয়েছেন। তবে তিনি কবে পরীক্ষা দিয়েছেন বা পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম কোনওটাই বলতে পারেননি স্কুল শিক্ষিকা লিপিকা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, লিপিকাদেবী অন্য স্কুলে কর্মরত ছিলেন। ৫ বছর আগে সেখান থেকে ডেপুটেশনে তাঁর স্কুলে এসেছেন। কিন্তু কোন স্কুলে লিপিকাদেবী কর্মরত ছিলেন তা বলতে পারেননি লিপিকা মণ্ডল।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শিবঠাকুর মণ্ডল তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন।