নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নদিয়ার যুবকের। ২১ জুলাই থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত যুবকের নাম রমেশ দাস (৩৮)।চলতি মাসেই রাজ্যে ডেঙ্গিতে ন’জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এল। যদিও ডেঙ্গির তথ্য জানাতে এখনও পর্যন্ত মুখে কার্যত কুলুপ এঁটে রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গিয়েছে, গত ২১ জুলাই থেকে জ্বরে ভুগছিলেন ওই যুবক। প্রথমে তাঁকে জাগুলি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। সেকারণে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় রমেশ দাসের।
ডেঙ্গি মোকাবিলায় আগামী অগাস্ট মাস থেকে মাসে দু-বার করে পরিচ্ছন্ন সপ্তাহ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ডেঙ্গি হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করে কীটনাশন ছড়ানো হবে। এমনকি, জেলাশাসকদেরও পর্যালোচনা বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
ডেঙ্গি সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদিয়া-জুড়ে। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে উপচে পড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বর্ষার শুরুতেই এই পরিস্থিতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় বেড়েছে প্রশাসনের। পরিস্থিতি সামলাতে নেওয়া হচ্ছে একাধিক উদ্যোগ।নদিয়ায় এবারের ডেঙ্গি আক্রান্তদের মধ্যে বিপুল সংখ্যায় থাকছে প্রান্তিক শ্রেণির মানুষেরা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা আর্থিক অভাবের কারণেই তাঁরা রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে পারছেন না। সেই কারণেই আরও ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গি। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গরিব পরিবারগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে মশারি বিতরণের কাজ।
রাজ্যে এখন ডেঙ্গির কোন সেরোটাইপের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে, তা জানতে এ বছরও পরীক্ষা শুরু করেছে নাইসেড। সংস্থার অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, ‘‘ডেঙ্গির সেরোটাইপ চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। তার জন্য বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে নমুনা চাওয়া হয়েছে।’’ হাসপাতালের তরফেও পজ়িটিভ নমুনাগুলি নাইসেডে পাঠানো শুরু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর পাশাপাশি বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষা করাতে আসা রোগীদের নমুনাও নাইসেডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আইডি-র অধ্যক্ষ।