নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এরই মধ্যে তৃণমূল নেতাদের বাড়ীর দরজায় লাথি মারার এবং রাস্তায় বেরোলে গাছে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বড়াইতলা বাজারে বিজেপির মন্ডল কার্যকারিনী বৈঠকে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলের যেসব নেতা চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন, তাদের বাড়ী গিয়ে চিত্কার করতে হবে, বাড়ী আক্রমণ করতে হবে। টাকা ফেরত দাও বলে দরজায় লাথি মারতে হবে।’ শুধু তাই নয়, ওই নেতারা রাস্তায় বেরোলে গাছে বেঁধে রাখতে হবে বলেও নিদান দেন দিলীপ ঘোষ।
তাঁর দাবী, তৃণমূল নেতারা ৩৮ হাজার লোকের কাছ থেকে অন্তত দশ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন। তিনি বলেন ১৮ হাজার লোক চাকরি পেয়েছে, ২০ হাজার এখনও পাননি, তারা চুপ করে আছেন। কেউ কেউ মাঝেমধ্যে গিয়ে নেতাদের কলার ধরছে। একটা একটা করে নাম আসছে আর জেলে ঢুকে যাচ্ছে।’ ‘ফেরত না দিয়ে পালাবে কোথায়,সব নেতাকে টাকা ফেরত দিতে হবে’, সংযোজন দিলীপের।
তবে, মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে বিজেপির এই সভা নিয়ে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল এবং পুলিশ। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সভা হয়েছে সেটাও ঘেরা জায়গায় বক্স বাজিয়ে। সভা করতে গেলে কি পুলিশের অনুমতি নিতে হবে! আমরা না নিয়েই করি, এবং করব। এ নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ, ‘পুলিশ তো তৃণমূলের দাস আর তৃণমূলের কেউ পড়াশোনা করে না। সব তো চোর-ডাকাত।’
এদিন তুফানগঞ্জে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। এদিন নাকাটিগাছ বিজেপি সংসদের কনভয় লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখানো হয়, সেই সঙ্গেই ওঠে ‘দিলীপ ঘোষ গো ব্যাক’ স্লোগান। পরবর্তীতে এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যাদের মুখ কালো হয়ে গিয়েছে তারাই এখন কালো পতাকা দেখাচ্ছে। আমাকে কালো পতাকা
দেখিয়ে কোনও লাভ নেই; বিধানসভায় জিতেছি, লোকসভায়ও জিতেছি।’