নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): দিদির দূত তৃণমূল সাংসদের সামনে বকেয়া ডিএ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তার পরেই শাসক দলের স্থানীয় ব্লক সভাপতির রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়ার জন্য় সরকারি আধিকারিককে ফোনে নির্দেশ দিতেও শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতিকে।
এর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্য়েই শো কজ করা হল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটির জেনাডিহি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। সাক্ষীগোপাল মণ্ডল নামে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কলে মিড ডে মিল বণ্টনে অব্য়বস্থা, ছাত্র সংখ্য়া কমে যাওয়া, অনুপস্থিতির মতো একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও ওই প্রধান শিক্ষকের দাবি, সাংসদের সামনে ডিএ চাওয়াতেই হেনস্থার মুখে পড়তে হল তাঁকে।
সাক্ষীগোপালের পাল্টা দাবি, “দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। কোনও অভিযোগ ওঠেনি। সাংসদের কাছে শুধু ডিএ কবে পাব, জানতে চেয়েছিলাম। তার পরেই এ দিন আমাকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। এবিপিটিএ করি, সেটাও হয়তো একটা কারণ।”এবিপিটিএ-র বাঁকুড়া জেলা সম্পাদকবিমান পাত্রেরও অভিযোগ, “যে অভিযোগগুলি উঠেছে, তা গুরুতর কিছু নয়। বিরোধী শিক্ষক সংগঠন করার জন্যই সাক্ষীগোপালকে নিশানা করা হচ্ছে।” এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি নিয়ে গতকাল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে যান দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। সেখানকার ডেনাডিহি প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শনে যান মালা রায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাক্ষীগোপালবাবুর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।তখনই ওই শিক্ষক তৃণমূল সাংসদকে প্রশ্ন করেন, অন্য়ান্য় রাজ্য়ে যেখানে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে এ রাজ্য়ে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ কবে মেটানো হবে? সাংসদকে ওই প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে তিন শতাংশ ডিএ, অন্য় রাজ্য়ে একটু বেশি হয়েছে।’
এই প্রশ্ন শুনে তৃণমূল সাংসদ পাল্টা ওই শিক্ষককে বলেন, এ রাজ্য়ে সাধারণ মানুষের জন্য় অনেক কিছু আছে যা অন্য় রাজ্য়ে নেই। ডিএ-কে ব্য়ক্তিগত স্বার্থ বলেও উল্লেখ করেন তৃণমূল সাংসদ।