নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): মানহানির ফৌজদারি মামলা। বিজেপি বিধায়কের করা এই মামলাতেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সুরাটের আদালত। পাশাপাশিই রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে ৩০ দিনের জন্য সাজা কার্যকর করা স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছেন বিচারক এইচএইচ বর্মা। তিনি জানিয়েছেন, ওই সময়সীমার মধ্যে সাজার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারবেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠছে সুরাট আদালতের এই রায়ে কি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? কী বলছে আইন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের জনপ্রতিনিধি আইনের সেকশন ৮ (৩) অনুযায়ী, কোনও সাংসদ যদি যে কোনও অপরাধে দু’বছর বা তাঁর বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হতে পারে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি পরবর্তী ৮ বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন না। অর্থাৎ উচ্চতর কোনও আদালতে এই রায় বাতিল না হলে ২০২৪ সালের লোকসভার লড়াই থেকেও রাহুল ছিটকে যেতে পারেন।
বিজেপির দাবি, নিম্ন আদালত যে হেতু রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেছে, কাজেই তাঁর লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ হওয়াই উচিত। অন্য দিকে, রাহুলের ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা বলছেন, আদালত সাজা ঘোষণার পাশাপাশি জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ, সাজা কার্যকর হচ্ছে না। ফলে উচ্চতর আদালতে জামিনের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত সাংসদ পদ খারিজের সম্ভাবনা নেই। রাহুলের আইনজীবী বাবু মঙ্গুকিয়া বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘নিম্ন আদালত সাজা কার্যকর মুলতুবি রেখে জামিন মঞ্জুরের পরেও জনপ্রতিনিধির পদ খারিজ করা হয়েছে, এমন কোনও নজির নেই।’’
কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন করবেন। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারেন। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয়
বলছেন, যে ৪৯৯ নম্বর ধারায় কংগ্রেস সাংসদকে ২ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে, সেই ধারায় ২ বছরের শাস্তি হওয়াটা খুব বিরল।