নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমকে রাজ্যের নয়া রাজধানী ঘোষণা করেছেন জগন।আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজধানী হিসেবে সেই বিশাখাপত্তনমকেই বেছে নিলেন তিনি। জগন জানান বিশাখাপত্তনমই রাজ্যের প্রধান রাজধানী হিসেবে গন্য হবে । একই সঙ্গে রাজধানী হিসেবে গন্য হবে অমরাবতী এবং কার্নুলও। অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হিসেবে গন্য হবে তিন শহর।
এক রাজ্যের তিন রাজধানী সংক্রান্ত আইন তৈরি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে। তার মধ্যেই বিশাখাপত্তনমকে রাজ্যের রাজধানী ঘোষণা করল জগন সরকার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রশাসনিক দফতর সেখানে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন জগন । এদিন দিল্লিতে International Diplomatic Alliance Meet-এ যোগ দেন অন্ধ্রর মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই নতুন রাজধানীর নাম ঘোষণা করেন তিনি।
বিশাখাপত্তনমকে রাজধানী করা কেন প্রয়োজন, তাও ব্যাখ্যা করেন জগন। তাঁর যুক্তি, উপকুলবর্তী বিশাখাপত্তনম বরাবর অন্ধ্রের অর্থনীতিকে মজবুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আগেও বিশাখাপত্তনম থেকে কাজকর্ম সামলেছেন তিনি। এ দিন জগন বলেন, “আজ আপনাদের বিশাখাপত্তনমে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছি, যা কিনা আগামী দিনে আমাদের রাজধানী হতে চলেছে।”২০১৪-য় অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তৈরি হয় নতুন রাজ্য তেলঙ্গানা । অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী ছিল হায়দরাবাদ । রাজ্য বিভাজনের পর ‘নিজামের শহর’-কে তেলঙ্গানার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে ঠিক তার পরের বছরই অমরাবতীকে রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে ‘মাস্টার প্ল্যান’ ঘোষণা করেন অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলগু দেশম পার্টি প্রধান এন চন্দ্রবাবু নায়ডু । অন্ধ্রপ্রদেশের বাণিজ্য শহর বিজয়ওয়াড়া থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। ২০১৬-তেই চন্দ্রবাবুর পরিকল্পনা মতো অমরাবতীকে রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।