নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): এই বছর ১ মার্চ থেকেই রাজ্যে লাগু হতে চলেছে দুই কিস্তির মহার্ঘ ভাতা। ৩ শতাংশ থেকে যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ শতাংশ।গত ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।অতিরিক্ত ৩ শতাংশ যোগ করা হয়েছে এ বছরের বাজেটে।গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি,বুধবার,রাজ্য বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ।বিভিন্ন খাতে সরকারের আয় ও ব্যয়ের হিসাব,বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলিতে উপকৃত মানুষের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।
শহিদ মিনারে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে বিগত কয়েকদিন দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।বকেয়া ডিএ’র দাবিতে গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলো সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ (চাকরিজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন)।
অন্যদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষাকে উপেক্ষা করেই গতকাল দুই ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কর্মবিরতি রাখেন সরকারি কর্মীদের একাংশ।ডিএ আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করেন ফিরহাদ। মঙ্গলবার বিধাননগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ‘আশ্রয় প্রকল্প’-এ বাড়ি উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি ।
সেখানে তিনি বলেন, ‘ডিএ নিয়ে এখন অনেক অপ্রয়োজনীয় কথা হচ্ছে। যারা অবহেলিত এবং বঞ্চিত, তাদের মুখে ভাত তুলে দেওয়া,নাকি যারা আগের থেকেই অনেক পাচ্ছে তাদের আরও বেশি পাইয়ে দেওয়া?কোনটিকে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত?যারা এমনিতেই অনেক টাকা বেতন পায়, তাদের আরও পাইয়ে দেওয়া আমার কাছে পাপ বলে মনে হয়। না পোষালে সরকারি চাকরি ছেড়েদিন।’
সরকারি কর্মীদের বক্তব্য অনুসারে, বকেয়া ডিএর পরিমাণ ৩৯ শতাংশ। বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ।অনেকে ঘটনাটিকে মরুভূমিতে এক বালতি জল ঢালার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
একজন কর্মীর বক্তব্য, “আমাদের প্রাপ্য ৩৯ শতাংশ ডিএ সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই। আমরা ভিক্ষার করার জন্য এখানে সংসার, বাড়িঘর ছেড়ে বসিনি।’
আগামী ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছেন সংগ্রামী মঞ্চ । অনেকে আবার ডিএ প্রত্যাখ্যানের দাবিও জানিয়েছেন।