Tuesday, October 15, 2024
Homeখবরনিজস্ব প্রতিনিধি সুজাতা দে: ১৯৯৯, লেস্টারশায়ার।

নিজস্ব প্রতিনিধি সুজাতা দে: ১৯৯৯, লেস্টারশায়ার।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হোভে হারতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। মহাগুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় ম্যাচ লেস্টারশায়ারে জিম্বাবুয়ের সাথে। ম্যাচের আগেরদিন অতুল রানাদের সাথে নিজের ঘরে বসে কথা বলছিলেন সচিন। হঠাৎই ডোরবেল। এক নয় একাধিকবার। অতুল দরজা খুলতেই আবিষ্কার করলেন বিধ্বস্ত অঞ্জলিকে।সাথে জাদেজা ও রবিন সিং। অতুল তো অবাক। অঞ্জলি তো লন্ডনে ছিলেন। লেস্টারে আসার কথাও নয়। এরই মাঝে অঞ্জলি জানালেন তিনি ড্রাইভ করে চলে এসেছেন। তারপরই দিলেন খবরটা। ঘরে তখন অপার নিস্তব্ধতা। প্রয়াত হয়েছেন সচিনের বাবা রমেশ টেন্ডুলকার।

তড়িঘড়ি ফেরার ব্যবস্থা হলো সচিনের। সাথে অঞ্জলি। পরদিন মুহ্যমান সচিন যখন সাহিত্য সহবাসে ঢুকছেন তখন টেল এন্ডারদের হারিকিরিতে জিম্বাবুয়ে ম্যাচ হেরে সুপার সিক্সের রাস্তা দুর্গম করে ফেলেছে ভারত। সচিন ঘরে ঢুকতেই চিরকালের মিতভাষী মা দৃঢ় গলায় বললেন, ” এখানে কি করছো? তোমার বাবা বেঁচে থাকলেও চাইতেন দেশের হয়ে কর্তব্য পালন কর। তুমি ফিরে যাও তাড়াতাড়ি।” বাবার শেষকৃত্য সেরে ইংল্যান্ড ফিরলেন সচিন। পরের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন ব্রিস্টলে। সেঞ্চুরির পর মাথা তুলে মেঘের মাঝে খুঁজলেন মৃত বাবাকে।

এমনই মহিয়সী রজনী তেন্ডুলকারও।অধ্যাপক বাবার মতোই জীবনবিমা নিগমে চাকুরিরতা মা খ্যাতির শীর্ষে থাকা ছেলেকে বারবার মনে করিয়ে দিতেন , ” তেন্ডলা জীবনে ভালো মানুষ হতে না পারলে কিন্তু তোমার সব সাফল্যই মিথ্যে।”

এমন মা না হলে এরকম ছেলে হয় নাকি আবার !

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments