নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): নিয়োগ দুর্নীতির জট যেন পিঁয়াজের খোলার মত। এই দুর্নীতির শেষ কোথায় তা খুঁজতে রীতিমত কাল ঘাম ছুটে যাচ্ছে আদালতের। একের পর এক নতুন নতুন নাম উঠে আসছে দুর্নীতি কাণ্ডে। কালীঘাটের কাকু থেকে তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ সবাই এখন নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত। এবার সেই জায়গায় উঠে এলো কুন্তলের আরেক সহযোগী যুব নেতা সান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন শুধুমাত্র চাকরি বিক্রি করা নয়, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মীদের বদলি করে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা হাতিয়েছেন শান্তনু। এমনকি তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে এইসব বদলি সংক্রান্ত নানান নথি। চাকরি বিক্রি করে শান্তনুর কামানো টাকার হদিশ পেতে এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের স্ক্যানারে এসেছেন তার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রিয়াঙ্কার নামে নাকি রয়েছে প্রচুর সম্পত্তি। এর আগেও তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ইডির তরফে যদিও সেই নোটিশ এড়িয়ে গিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। কোথা থেকে এত সম্ এত সম্পত্তি এসেছে প্রিয়াঙ্কার নামে তা জানতে চলতি সপ্তাহে তাকে আবারো তলব করা হয়েছে।প্রাইমারি আপার প্রাইমারি সংগঠিত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটা রেট নির্ধারণ করতেন শান্তনু। প্রথম এই শান্তনুর নাম করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মন্ডল। শান্তনুর বাবা বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের একজন কর্মী ছিলেন। একটা মোবাইল ফোনের দোকান ছিল তাদের। ছাত্র ভোটের মাধ্যমে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় শান্তনুর।
তারপর থেকেই নাকি ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে তার সম্পত্তি। এলাকায় ব্যাপক দাপট রয়েছে এই শান্তনুর। গত কয়েক বছরের তার সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্নীতির পাশাপাশি নানান রকম অবৈধ কারবার করতেন এই সান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার সম্পত্তির পরিমাণ আর কত বিস্তৃত তা জানতে এবার প্রিয়াঙ্কাব্যানার্জিকে তলব করেছে ইডি। এই প্রসঙ্গে প্রিয়াংকার মা জানান শনিবার নাতিকে নিয়ে বেরিয়েছেন তার মেয়ে। কোথায় গেছেন তা জানেন না। এমনকি ফোনেও মেয়ের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারছেন না বলেও দাবি করেন মা।