নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে শনিবারই গ্রেফতার করেছে।হেপাজতে নিয়ে তাঁকে জেরা করছে ইডি। জেরায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন, তিনি টাকা তুলে একজনের কাছে পৌঁছে দিতেন। বিনিময়ে তিনি ১০ শতাংশ কমিশন পেতেন। তারপর কে কারা চাকরি দিত তা তিনি জানেন না। সোজা কথায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে যে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল তার মাত্র ১০ শতাংশ কমিশন হিসাবে পেয়েছেন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। বাকি টাকাটা যেত তৃতীয় ব্যক্তির কাছে।
২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে হয়েছে এই লেনদেন। এখন প্রশ্ন উঠছে এই তৃতীয় ব্যক্তিটি কে? ইনি কি কোনও প্রভাবশালী? নাকি তাঁর মাথায় রয়েছে কোনও প্রভাবশালীর হাত? শনিবারই কুন্তলকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে ইডি। জেরায় তাপস, গোপালের পর সামনে এসেছে আরও একটা নতুন নাম। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলকে ঘোষকে জেরা করার পর একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তাঁদের হাতে। জেরায় গোপাল দলপতি ছাড়াও আরও এক ব্যক্তির নাম নিয়েছেন কুন্তল। তবে সেই নামটি কার তা জানা যায়নি। চাকরি প্রার্থীদের থেকে নেওয়া টাকা কোথায় কত করে দেওয়া হয়েছিল তাও জেরায় জানিয়েছেন কুন্তল।
প্রাথমিকের টেট থেকে শুরু করে নবম-দশম, দ্বাদশ-একাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ-ডি নিয়োগ সহ একাধিক ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার নামে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলেছিলেন এই কুন্তল ঘোষ। তাঁকে জেরা করার সময় এ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আরও জানা গিয়েছে, প্রাইমারির প্রার্থীদের নিয়োগপত্রের জন্য প্রায় ১০ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে কুন্তলের মাধ্যমে। জেরায় ইডিকে এমনই জানিয়েছেন কুন্তল। এছাড়াও আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে লেনদেনের অঙ্ক তিন কোটি ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশেও টাকার লেনদেন হয়েছে বলে খবর। তবে সেই অঙ্ক সঠিক ভাবে জানা যায়নি। একই সঙ্গে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগেও বেআইনি লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত কুন্তলের বিরুদ্ধে।