নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): অ্যাডিনোভাইরাস ঘিরে উদ্বেগ বাড়ল। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুর মৃত্যু হল কলকাতায়। গত শুক্রবার পার্ক সার্কাসের হাসপাতালে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আড়াই বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরে অসুস্থ ছিল শিশুটি। জানা গিয়েছে, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিল শিশুটি। গত ৭-৮ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিল সে।
করোনা পরবর্তী সময়ে নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস। কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে। ভাইরাস মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে রাজ্য। এ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শিশুরা অসুস্থ থাকলে তাদের স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৩-৫ দিন জ্বর থাকলে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে অস্বস্তি ভাব বজায় থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহারে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। গাইডলাইনও জারি করেছে স্বাস্থ্যভবন।
তিনদিনের বেশি সময় ধরে জ্বর থাকলে, মাথাব্যথা, পেটখারাপ হলে চিকিৎসা আবশ্যক। সাধারণত জ্বর-কাশি, গলাব্যথার পাশাপাশি পেট খারাপ, বমি হয়ে থাকে এই ভাইরাসের আক্রমণে। চিকিৎসকরা বলছেন. নির্দিষ্ট সময় অন্তর জ্বর মাপতে হবে। জ্বর কতটা উঠল তা লিখে রাখতে হবে। একদিনের মধ্য়ে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া আবশ্যক। অক্সিমিটার দিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করতে হবে। দু’বছরের কমবয়সিরা অসুস্থ হলে তাদের আলাদা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রবীণদের শ্বাসনালির উপরিভাগ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। তাঁরা জ্বর এবং দীর্ঘ দিন ধরে কাশিতে ভুগছেন। গত জানুয়ারিতে ৫০০টি নমুনা নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেগুলির মধ্যে ৩২ শতাংশের ক্ষেত্রে অ্যাডিনোভাইরাস, ১২ শতাংশের ক্ষেত্রে রাইনো ও ১৩ শতাংশের ক্ষেত্রে মিলেছে প্যারা-ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।