নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ইঁদুরের হামলা। শুধু হামলা করেই থেমে থাকেনি ইঁদুরের দল। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার পোশাকও কুড়ে কুড়ে খেয়েছে ইঁদুর। তাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মন্দির (Puri Jagannath) কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের গর্ভীগৃহে ইঁদুরের উৎপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ঠাকুরের কাঠের মূর্তি। তাই এই বিষয়টিকে গুতুত্ব সহকারে দেখছে তারা।
পুরীর মন্দিরের এক সেবায়েত সম্প্রতি এই আরশোলা এবং ইঁদুরের উৎপাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, “মন্দিরের ভিতর চতু্র্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইঁদুর। রত্ন সিংহাসনের আশপাশেও অধিকাংশ সময় দৌড়ে এদিকে-সেদিকে ঢুকে যাচ্ছে তারা। ফলে জগন্নাথদেবের সাজসজ্জার এবং পোশাক পরিবর্তনের কাজ করতে পারছি না আমরা। অনেকসময় গিয়ে দেখতে পারছি, ভগবানের জামাকাপড় কেটে রেখে দিয়েছে ইঁদুরের দল। আবার কখনও কখনও কেচে রাখা নতুন পোশাকের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে আরশোলাকে। ফলে সেগুলি আবার অপরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আমরা তটস্থ হয়ে থাকছি। এই বুঝি ইঁদুর আর আরশোলার তাণ্ডবে আমাদের সমস্ত কাজ পণ্ড হয়ে গেল।” মন্দিরের গর্ভগৃহে যত্রতত্র মলত্যাগ করে ছড়াচ্ছে ইঁদুরের দল। ফলে পবিত্র স্থান অপবিত্র হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করছেন সেবায়েতরা।কেন আচমকা ইঁদুরের উপদ্রব? জানা গিয়েছে, ২০২০ ও ২০২১ সালে দীর্ঘ সময় ধরে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির। অন্য সময়ে দর্শকদের ভিড়ের চাপে সেভাবে বেরতে পারে না ইঁদুর বাহিনী। কিন্তু ফাঁকা মন্দির পেয়ে অবাধে বিচরণ শুরু করে তারা। শুধু ইঁদুর নয়, পুরীর মন্দিরে লাফিয়ে বেড়েছে আরশোলার সংখ্যাও।
মন্দিরের পরিচালন সমিতির তরফে বলা হয়েছে, এই সমস্যার কথা তাঁদের কানে এসেছে। তবে বিষ খাইয়ে ইঁদুর মেরে ফেলার পক্ষপাতী নয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। জিতেন্দ্র সাহু নামে মন্দিরের এক প্রশাসক জানিয়েছেন, ““আমরা ঘটনাটা জানি, এবং যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্দির থেকে ইঁদুর নির্মূল করার সমস্ত চেষ্টা চলছে। আপাতত জাল পেতে ইঁদুর ধরার কাজ চলছে। তাদের ধরে মন্দির থেকে অনেক দূরে ফেলা দেওয়া হবে। কিন্তু কোনওমতেই বিষ খাইয়ে ইঁদুর মারব না।” জানা গিয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকেও এই সমস্যার কথা জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।