নিজস্ব প্রতিনিধি সম্পা ঘোষ, পানিহাটি :প্রান্তনগর এলাকায় সম্প্রতি এক পুলিশ-ট্যাগযুক্ত গাড়িকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই একটি গাড়ি রাত-বিরাতে পাড়ার সরু গলিতে এসে দাঁড়িয়ে মেয়েদের নিয়ে আপত্তিকর কার্যকলাপে লিপ্ত থাকছে। গাড়িটি পুলিশের গাড়ি বলেই পরিচিত এবং চালক নিজেকে পুলিশের ছেলে বলে দাবি করে আসছে।
প্রান্তনগর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক পবিত্র বাবু জানান, স্থানীয় মহিলারা দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই তাকে হেনস্থা করা হয়। মহিলাদের মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয় এই বলে যে, “এটা পুলিশের গাড়ি, বেশি কিছু বলবেন না।”
৮ই জুন রাতেও একই গাড়িকে একইভাবে পাড়ায় দেখা যায়। ৮ই জুনের ঘটনায় সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। এলাকার সরু গলিতে গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকায় অন্য গাড়ির যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। সম্পাদক পবিত্র বাবু গাড়িটিকে একটু সরে রাখতে বললে গাড়ির চালক উলটে তার সাথে বচসায় লিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পবিত্র বাবুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়, এবং একজন স্থানীয় ব্যক্তি তাকে ঠেকাতে গেলে তার মাথায় গাড়ির চাবি দিয়ে মারাত্মক আঘাত করা হয়, যার ফলে দু’টি সেলাই দিতে হয়। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে ধরে ফেলে এবং ঘোলা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দুই পক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে কথাবার্তার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন, পুলিশের গাড়ি কি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়? ডিউটির বাইরে কীভাবে একজন সাধারণ নাগরিক পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করছেন?
প্রান্তনগরবাসী বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।