ঝিনুকের মধ্যে মুক্ত খুঁজে পাওয়া যেমন আশ্চর্য নয়, তেমনি প্রত্যন্ত মফসলের ভিতর থেকেও এমন এক উজ্জ্বল মুক্ত খুঁজে পাওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। আজ আমরা কথা বলবো ঠিক এমনই এক ক্ষুদে প্রতিভাকে নিয়ে — মঞ্জিষ্ঠা পাল।
মাত্র ৯ বছর বয়সেই নিজের প্রতিভার ছাপ রেখে চলেছে মঞ্জিষ্ঠা। স্বর্ণ করি শিশু নিকেতন কেজি স্কুলের ছাত্রী সে। পিতা বাপি পাল একজন চিত্রশিল্পী ও অংকন শিক্ষক, যিনি নিজেই গড়ে তুলেছেন স্বর্ণকলি ফাইন আর্ট একাডেমি নামক এক চিত্রশিল্প শিক্ষাকেন্দ্র। মা অপর্ণা পাল একজন দক্ষ গৃহিণী। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মঞ্জিষ্ঠা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ও সৃষ্টিশীল মননের অধিকারী।
নৈশভবনের গণ্ডি ছাড়িয়ে মঞ্জিষ্ঠার শৈল্পিক পদচারণা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরে অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটির পরিচালনায় আন্তর্জাতিক অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বি-গ্রুপে অংশ নিয়ে সে জাতীয় স্তরে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে এবং দক্ষতার সাথে পুরস্কার অর্জন করেছে।
রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত আড়ংঘাটার দত্তপুলিয়া গ্রামের এই কন্যা যেমন পুতুল খেলা আর নৃত্যে আগ্রহী, তেমনি চিত্রকলায়ও তার দখল চোখে পড়ার মতো। তার হাতেখড়ি বাবার কাছ থেকেই, যা আজ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মঞ্জিষ্ঠার এই কৃতিত্বের পেছনে রয়েছে তার বাবা-মা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পরিজনদের অনুপ্রেরণা ও নিরলস পরিশ্রম।
এ বিষয়ে মঞ্জিষ্ঠার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন,
“আমরা অত্যন্ত গর্বিত মঞ্জিষ্ঠার এই অর্জনে। ওর মতো মেধাবী ছাত্রী আমাদের বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমরা চাই, আগামী দিনে সে আরও উচ্চ শিখরে পৌঁছাক — আমাদের আশীর্বাদ সবসময় ওর সঙ্গে।”
এই ছোট্ট মেয়েটির স্বপ্ন ও নিষ্ঠা আগামী দিনে আরো অনেককে অনুপ্রাণিত করবে, এ বিশ্বাস রাখাই যায়।