নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুই সংস্থাকে নির্দেশ দিলেন দুর্নীতির তদন্ত আরো খতিয়ে দেখার। কিভাবে পর্ষদের নানান কাজের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এস বসুরায় এন্ড কোম্পানিকে দেওয়া হল তা জানতেই এই তদন্ত বলে জানা গিয়েছে।বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি নতুন করে এফআইআর করে এই তদন্ত করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করার বরাত পায় এস বসু রায় এন্ড কোম্পানি। তৎকালিন কমিটির সদস্যদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে সিবিআই।
এজন্যই তাদের হেফাজতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে, উল্লেখ্য এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি খোদ দুটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে টেট দুর্নীতি মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেবে এই তদন্ত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গ্রেপ্তার হয়েছেন বাগদার চন্দন মন্ডল যিনি আবার সৎ রঞ্জন নামে পরিচিত। এলাকাবাসী কাছ থেকে তিনি নিয়োগের নাম করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন বলেই জানা যায়।
প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা, উপেন বিশ্বাসের একটি ভিডিওতেই উঠে এসেছিল সেই টাকা নেওয়ার কাহিনী। টাকা নেওয়ার পর চাকরি না হলে সুদ সমেত টাকা ফেরত দিতে বলা হয় তাকে। এরপরই আদালতে তুলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় তিনি কোনোভাবেই সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ অন্যদিকে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও একের পর এক রহস্যজনক তথ্য উঠে আসছে। উঠে এসেছে এই দুর্নীতি মামলায় আরেক অভিযুক্ত গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ।