নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): আবার ভূমিকম্প তুরস্কে। ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্য তুরস্কে ৫.৬ মাত্রার আবার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার গভীরে। সিরিয়াতেও পড়েছে ভূ-কম্পনের প্রভাব। বর্তমানে এই ভূমিকম্পের জেরে দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি। জানা যাচ্ছে ৪,৩০০ র বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরে ৪টে নাগাদ কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে। ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-র মতে, এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। এর পর থেকে একাধিকবার কেঁপে উঠেছে তুরস্ক এবং সিরিয়া।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলি মূল ভূমিকম্পের ‘আফটারশক’। এটি মূলত ভূগর্ভের নীচে একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়া পাতগুলির পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া। প্রথম ভূকম্পের পর উৎসস্থলের কাছাকাছি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বার বার কেঁপে ওঠে বিধ্বস্ত এলাকা। সেগুলিকেই ‘আফটারশক’ বলে। বড় ভূমিকম্পের পর এই ‘আফটারশক’গুলি হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আফটারশকের সংখ্যা কমতে থাকে। তবে কখনও কখনও ‘আফটারশক’ এক বছর পর্যন্ত হতে পারে৷
তুরস্কে ৭ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী ছিল যে হাজার হাজার বাড়ি তাসের মতো ধসে পড়ে। তুর্কি প্রশাসন বলছে, এ পর্যন্ত ৫,৬০৬টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসের একই দৃশ্য দেখা গেছে সিরিয়াতেও। জানা গিয়েছে দু’দেশ মিলিয়ে প্রায় ৭৭টি আফটারশক হয়েছে।