নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): আমরা এরকম প্রায়ই দেখে থাকি যে কোনো জনপ্রিয় মানুষের অন্ধ ভক্ত থাকতে। যে কোনো অভিনেতা, শিল্পী, লেখক, কোনো মহান ব্যাক্তিত্ব এসব মানুষের অন্ধভক্ত থাকাই স্বাভাবিক। আর কিছু কিছু অন্ধভক্ত এমনও হয় যাদের কাণ্ডকারখানা গুলোই অবাক করে দেওয়ার মতোই থাকে। যেমন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। তাঁর একের পর এক হিট ছবি মনে রাখার মতন।তাঁর অনুরাগীদের কাছে তাঁর পরিচয় ‘মুন্নাভাই’ কিংবা ‘সঞ্জু বাবা’ নামে। ইন্ডাস্ট্রিতে এত বছর ধরে কাজ করলেও সঞ্জয়ের জনপ্রিয়তায় কিন্তু একটুও আঁচ পড়েনি। বরং সময়ের সঙ্গে তা আরও বেড়েছে। সারা বিশ্বে অসংখ্য অনুরাগী রয়েছে তাঁর। আর যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে সেই অনুরাগীর সংখ্যাও। আর সেরকমই এক অনুরাগী তিনি যা কাণ্ড করেছেন সঞ্জয় দত্তের জন্য তা জনার পর খোদ অভিনেতাও অবাক হয়ে গেছেন।কিন্তু কি করেছিলেন তাঁর ওই অনুরাগী আসুন জেনে নেওয়া যাক। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালে। আচমকাই পুলিশের তরফ থেকে সঞ্জয়ের কাছে একটি ফোন আসে। বলিউড অভিনেতাকে জানানো হয়, নিশা পাটিল নামে তাঁর একজন মহিলা অনুরাগী প্রায় দু’সপ্তাহ আগে প্রয়াত হয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট মহিলা নিজের সমস্ত সম্পত্তি বলিউড সুপারস্টারের নামে লিখে দিয়ে গিয়েছেন।
আর এটা শোনার পর আকাশ থেকে পড়েন সঞ্জয় দত্ত। কারন তিনি ওই নিশা পাটিলকে চেনেন না অবধি। আর সেই মানুষটা তার জন্য রেখে গেছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সঞ্জয়কে পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, প্রয়াত নিশা ব্যাঙ্কের কাছে একাধিক চিঠি লিখেছিলেন এবং অনুরোধ করেছিলেন যাতে তাঁর সমস্ত অর্থ অভিনেতাকে দিয়ে দেওয়া হয়।শোনা যায়, ‘সঞ্জু বাবা’র সংশ্লিষ্ট অনুরাগী প্রায় ৭২ কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিনেতা এই টাকা নিতে রাজি হন নি। বরং সম্পূর্ণ সম্পত্তি নিশার পরিবারকে ফিরিয়ে দিতে বলেন তিনি। ব্যাঙ্ক থেকে জানা যায়, নিশা তাঁর নমিনি হিসেবে সঞ্জয়ের নাম লিখে গিয়েছিলেন এবং ঠিকানা হিসেবে অভিনেতার পালি হিলের বাড়ির ঠিকানা দিয়ে গিয়েছিলেন।
এর পরেও এই টাকা নেননি সঞ্জয় দত্ত। বরং তিনি একবার এক সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়ে একটা বিবৃতি রাখেন। তিনি বলেন, ‘অভিনেতা হিসেবে আমরা দেখেছি অনুরাগীরা আমাদের নামে সন্তানের নামকরণ করছেন। কিংবা বাড়ি অবধি চলে আসছেন, এমনকি উপহারও দিচ্ছেন। কিন্তু এই ঘটনা আমায় অবাক করে দিয়েছে। আমি সম্পত্তির কোনও অংশ দাবি করব না। আমি নিশাকে চিনতাম না। তবে সম্পূর্ণ ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি কৃতজ্ঞ অনুভব করছি’।