নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে নতুন এক নির্দেশ, স্ত্রীর কেবলমাত্র বন্ধ্যাত্বের কারণের জন্য তার সাথে বিচ্ছেদ করা যাবে না। একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে এমন নির্দশ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের পদক্ষেপকে এক প্রকার মানসিক নির্যাতন বলেই অভিহিত করেছেন আদালত।এক ব্যাক্তি স্ত্রীর বন্ধ্যাত্বের জন্য মানসিক অবসাদের মধ্যে ছিলেন, আর সেই কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতের দারস্থ হন ব্যাক্তি, কিন্তু হাইকোর্টের তরফ থেকে সমস্ত কিছু শুনে সেই ব্যাক্তির অভিযোগ বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বেলেঘাটার এক বাসিন্দা, সেই দম্পতির ৯ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক, স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষিকা, কিন্তু সন্তান না হওয়ার জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তারা।এমনকি বেঙ্গালুরুর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাও চলেছিল তার। এতটাই মানসিক অবসাদের মধ্যে ছিলেন তিনি। ঠিক এই পরিস্থিতির জন্যই আবার স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন, যেটা তাকে আরও মানসিক অবসাদের মধ্যে ঠেলে দেয়।তবে স্ত্রীও ছেড়ে কথা বলে না, স্বামীর এই কান্ডের পরে বেলেঘাটা থানায় ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন। আর এখানেই স্ত্রী মানসিক নির্যাতন সহ বিশ্বাসভঙ্গের একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন, ভারতীয় দন্ড বিধির একাধিক ধারায় চার্জশিট পর্যন্ত দেওয়া হয়।
&$9আর তার ঠিক পরেই স্বামী আবার দারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টে, কিন্তু সেখানে গিয়েও তেমন একটা লাভ হয় না তার। কারণ সেখানে বিচারপতি শম্পা দত্ত বলেন, কেবলমাত্র বন্ধ্যাত্বের কারণে স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করা যায় না। মা বাবা হওয়ার জন্য অনেক বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে, এই সময়ে একে অপরের পাশে থাকা উচিৎ।
মানসিক ভাবে সাহায্য করা উচিৎ। তবেই মহিলা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবেন। তাছাড়া একজন মহিলার মা হওয়ার স্বপ্ন থাকে, আর সেটা না হলে তিনি আরও বেশী কষ্ট পান। তাই এই ক্ষেত্রে স্বামীর কর্তব্য স্ত্রীর পাশে থাকা।