নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ রায়): হাতে গোনা আর কয়েকদিন, তারপরই পেশ করা হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ বাজেট। ফলে এবারের বাজেটে সরকার যে বিশেষ গুরুত্ব দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, এবারেরবাজেটে সুখবর রয়েছে সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য় ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা করতে পারে। জানা গিয়েছে, এবারের বাজেটে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় আর্থিক কভারেজ বাড়ানো হতে পারে। এতে শুধুমাত্র গরিব মানুষেরাই নন, মধ্যবিত্ত শ্রেণিও উপকৃত হবেন।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল হেলথ অথারিটির তরফে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে। ন্যাশনাল হেলথ অথারিটির তরফে জানানো হয়েছে, গরিব মানুষরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেলেও, মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি বড় অংশেরই স্বাস্থ্যবিমা করা নেই। মধ্যবিত্ত শ্রেণিও যাতে কম খরচে যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ পান, তার জন্যই কেন্দ্রের কাছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে দেশের নানা প্রান্তে হাসপাতাল তৈরির জন্য মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রতিটি হাসপাতাল অত্যাধুনিক। কিন্তু তৈরি হওয়ার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। তৈরি হওয়া হাসপাতালের এক তৃতীয়াংশ রোগী শূন্য। এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
সব থেকে বেশি হাসপাতাল তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল গুজরাতকে। মোদীর গুজরাতে তৈরি করা হয় ২,৫৫২টি হাসপাতাল। দ্বিতীয়স্থানে তামিলনাড়ু। ওই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে তৈরি করা হয় ১,৮৮১ টি হাসপাতাল। অন্ধপ্রদেশের এই প্রকল্পে তৈরি হওয়া হাসপাতালের সংখ্যা ১,২৯৫। রাজস্থান, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ এবং পঞ্জাবে এই প্রকল্পে তৈরি হওয়া হাসপাতালের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৫৮, ৪২১, ২৩৮, ১৯৭, ১৫৪, ১০৯। আর এই কটি রাজ্যে এই প্রকল্পে মোট সাড়ে সাত হাজার হাসপাতাল তৈরির কথা ছিল। বরাদ্দও করা হয়েছিল অর্থ। সেই অর্থ খরচ করা হয়েছে, না রাজ্য কোষাগারে, তা নিয়ে সুষ্পষ্ট তথ্য নেই।