নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): বাবল টি’র নাম শুনেছেন? শুনে থাকলেও নিজে হাতে এমন পানীয় বানিয়েছেন কখনও? যদি না বানিয়ে থাকেন, তাহলে আজ আপনাকে সুযোগ করে দিচ্ছে গুগল (Google doodle)। ডুডলে মজার খেলায় যোগ দিতে পারেন আপনিও।
২০২০ সালে আজকের তারিখেই বাবল চায়ের একটি নতুন ইমোজি তৈরি হয়। তাই আজকের দিনটিকে উদযাপন করতেই তৈরি এই ডুডল। বাবল চা-কে ‘বোবা চা’ বা ‘মুক্তো দুধের চা’-ও বলা হয়। আগে আঞ্চলিক পানীয় হিসেবে বিখ্যাত হলেও সম্প্রতি সারা বিশ্বেই নাম ছড়িয়েছে এই চায়ের। সে কথা সাধারণের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই একটি মজাদার গেম এনে দিনটিকে সেলিব্রেট করছে গুগল। জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের ডুডল তৈরির নেপথ্য কারিগর সোফি ডাও এবং সেলিন ইউ হ্যান্ড্রিউ।
এবার আসা যাক বাবল টিয়ের গেমের কথায়। আজ সার্চ ইঞ্জিনের হোম পেজে গেলে আপনি এক ক্লিকে যোগ দিতে পারবেন মজার এই গেমে। যেখানে আপনাকে অন্যদের জন্য বানাতে হবে এই পানীয়। মধু, রসবেরি, ফ্রুট জেলি-সহ নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় এই পানীয়। তবে সঠিক পরিমাণ উপকরণ দিলে তবেই আপনি বেশি পয়েন্ট পাবেন। মোট পাঁচবার পানীয় বানানোর সুযোগ পাবেন। তাহলে দেরি না করে নিজেই ট্রাই করে দেখুন ক’টি হলুদ তারা ঝুলিতে ভরতে পারেন।
এদিন ডুডলের সঙ্গে এর উৎপত্তির কথাও জানিয়েছে গুগল। তাইওয়ান ঐতিহ্যবাহী চা পানের সংস্কৃতিতেই ছিল বাবল চায়ের কথা। সতেরো শতকে এর উদ্ভাবন হয়। তবে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সেভাবে জনপ্রিয় হয়নি এই চা। বিশেষ করে এর উপকরণ ও তৈরির পদ্ধতিতেও বদল আসে এই সময়। ১৯৮০ সালের পর থেকে নতুন কায়দায় তৈরি বাবল চা-ই আধুনিক সময়ের বিখ্যাত চা। ধীরে ধীরে এর রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাদেরও বদল ঘটেছে। সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ এশিয়ার বহু দেশ এখনও বাবল টি বা বোবা টিয়ের স্বাদ নিয়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাবল চায়ের মধ্যে বুদ্বুদ দেখা যায় তা নয়। মূলত গোল গোল বুদ্বুদের মতো জেলির বল থাকে এই চায়ে। জিলেটিন দিয়ে তৈরি হয় এই বিশেষ ক্যান্ডি বল। ডুডলের কথায়, এগুলি ট্যাপিওকা বল বা ফলের জেলি দিয়ে তৈরি হয়।