নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে রয়েছে মণিকর্নিকা ঘাট। দেশের মধ্যে এই শ্মশানকে অন্যতম পবিত্র বলে গণ্য করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে এখানে ভিড় জমান। অনেকে জীবনের শেষ দিনগুলি কাটাতে চান গঙ্গার প্রান্তে এই শ্মশান ঘাটে। সম্প্রতি মণিকর্নিকায় মহাশ্মশান নাথ বাবা অনুষ্ঠান চলছিল। তিন দিনের এই অনুষ্ঠান ঘিরে জমজমাট ছিল মণিকর্নিকা শ্মশান চত্বর। সেই অনুষ্ঠানের শেষ দিন চটুল নাচের আসর বসার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে অশ্লীল পোশাক পরে নাচলেন একাধিক মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব ঘটনাক ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ওই মহিলাদের নাচতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি কিছু জনকে দেখা যাচ্ছে, নতর্কীদের উদ্দেশে টাকা ওড়াতে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাপানউতোর ছড়িয়েছে বারাণসীতে।
এক দিকে জ্বলছে একের পর এক চিতা। কয়েক হাত দূরেই মঞ্চে তখন উচ্চগ্রামে চলছে গান। আর সেই গানের তালে রংবেরঙের আলোয় মঞ্চ মাতাচ্ছেন স্বল্পবসনা মহিলারা। মঞ্চের সামনে তখন উল্লাসে ফেটে পড়ছে দর্শক। মহিলাদের দিকে টাকাও ছুড়ে দেওয়া হচ্ছিল। এমনই দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি-ভিডিয়োয়। মণিকর্ণিকা ঘাটকে অন্যতম পূণ্যস্থান বলে মনে করা হয়। এই ঘাটে শবদেহ পোড়ানো হয়। মঙ্গলবার রাতে এক দিকে যখন মৃতদের পরিজনেরা প্রিয়জনদের হারিয়ে শোকে বিহ্বল, কয়েক হাত দূরেই মঞ্চে ‘অশ্লীল নাচ’-এর এই অনুষ্ঠান নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তাঁরা।
মৃতদের পরিজনদের অভিযোগ, অনুষ্ঠানের নামে এই ধরনের ‘অশ্লীল’ নাচ কোনও ভাবেই কাম্য নয়। অনেকেই তাঁদের পরিজনকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল থাকেন। ঘাটে একটা শোকের আবহে, এ ধরনের অনুষ্ঠানে দৃশ্যদূষণ হয়।
চটুল নাচের ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । যদিও মণিকর্নিকা মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এমন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও রাত ১০টা অবধি তারস্বরে লাউডস্পিকার বাজানোর বিষয়ে তিনি বলেছেন, এখানে যুগ যুগ ধরেই এই প্রথা চলে আসছে।