নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): রবিবার সন্ধ্যায় হঠাত্ই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।দলের পক্ষ থেকে একটি টুইট করে এই খবর দেওয়া হয়। টুইটে লেখা হয়েছে, বিজেপির জনবিরোধী নীতি ও ঘৃণার বার্তাকে দূরে ঠেলে সুমন কাঞ্জিলাল আজ তৃণমূল পরিবারে যুক্ত হলেন। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে যুক্ত হলেন তিনি। বিজেপি যে মানুষের জন্য কাজ করতে চায় না, আরও একজন বিজেপি বিধায়ক সত্যিটা উপলব্ধি করলেন। এই টুইট ঘিরে রবিবার সন্ধ্যায় কার্যত শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিকমহলে। এরপরই আসরে নামেন বিরোধী দলনেতা। টুইটারে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানান শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু টুইটারে লেখেন, দলত্যাগ বিরোধী আইনের ভয়েই কি উনি তৃণমূলের পতাকা হাতে দিলেন না? মুকুল রায়কে বিধানসভার ভিতরেও দাবি করা হয়েছে তিনি বিজেপির। সুমন কাঞ্জিলালের ক্ষেত্রেও হয়ত সে রকমই হবে। চ্যালেঞ্জ করছি, হিম্মত থাকলে সুমনকে বিধানসভায় বলতে বলুন তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এরপরই শুভেন্দুকে পাল্টা দিতে আসনে নামেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, শুভেন্দু, দলত্যাগবিরোধী এত তত্ত্ব বলার আগে তোমাকে একটা সবিনয় অনুরোধ। এই ভাবে সাধারণ মানুষের জন্য টুইট না করে, প্রথমে তুমি বাড়ি যাও। বাড়ি গিয়ে দরজা বন্ধ করে নিজের বাবা আর ভাইকে অ্যান্টি ডিফেকশন সংক্রান্ত নীতিটা বোঝাও। একই সঙ্গে কুণাল বলেন, উনি কী রকম বিরোধী নেতা? নিজের দলের বিধায়কদেরই ধরে রাখতে পারেন না। এই বিরোধী নেতা সিবিআই, ইডি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে। ফলে বিজেপির নেতা-কর্মী, বিধায়করা আস্থা রাখছেন না। এদিন তৃণমূলের যুবনেতা সুদীপ রাহা বলেন, যেভাবে বিজেপি বিধায়করা দল ছাড়ছেন তাতে ভবিষ্যতে ভবিষ্যতে বিরোধী দলনেতার পদটাও হয়তো খোয়াতে হতে পারে বিজেপিকে।