১২ সেপ্টেম্বর, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ চলতি মাসের ১৭ সেপ্টেম্বর সারা বাংলা জুড়ে নানান কলকারখানা সহ অনেক দোকান লোহা লক্কড়ের দোকান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূজিত হবেন কারিগরি দেবতা তথা বিশ্বকর্মা দেব। এরপর মহালয়ার পূণ্য তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে মাতৃপক্ষের সূচনা হবে এবং শারদীয়া উৎসব দেবী দুর্গাপূজা শুরু হবে। চলতি সপ্তাহের অন্ত থেকেই মাতৃপক্ষের সূচনার সাথে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গো উৎসবের দামামা বেজে উঠবে।প্রসঙ্গত, গত ৪ আগে বছর করোনা আবহ তথা লকডাউনের জেরে বিশ্বকর্মা প্রতিমার বায়না তেমন না পাওয়ায় মাথায় হাত পড়ে ছিল কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের। তবে লকডাউন শিথিল হতেই গত ৩ বছরে মুখে হাসি ফুটেছে মৃৎশিল্পীদের। বাঙালির আবেগের ওপর অন্য কিছু হয় না কারণ বিশ্বকর্মা পূজা মানেই আগমনীর বার্তা বিশ্বকর্মা পুজো শুরু হওয়া মানে দেবী দুর্গার বোধন শুরু হওয়া তাই খুশির জোয়ারে ভাসতেই বিশ্বকর্মা পূজার মধ্য দিয়ে দূর্গাপূজার আবেগে ভাসবেন সকলে। তার আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের বিশ্বকর্মা প্রতিমার শেষ তুলির টান দিতে দেখা গেল, তাদের প্রস্তুতি ভীষণভাবে তুঙ্গে কারণ সপ্তাহতেই অর্ডার করা বিশ্বকর্মা প্রতিমা পৌঁছে দিতে হবে নানান জায়গায়। এই বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া এলাকার মৃৎশিল্পী ভুবন শীল জানান, “লকডাউনের জেরে প্রতিমা বিক্রি ও বায়না না পেয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হতেই বর্তমানে ৩ বছর পর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এগিয়ে আসর আগে থেকে বিভিন্ন ক্লাব অন্যান্য কারখানা দোকান বড় বড় বাড়ি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছোট-বড় নানান ধরণের বিশ্বকর্মা প্রতিমা বায়না করে যাচ্ছেন, ১৬ তারিখে ডেলিভারি দিব তাই শেষ প্রস্তুতি চলছে, আমাদের দিকে ভগবান মুখ তুলে তাকিয়েছেন”। তবে বলাই বাহুল্য, প্রতিমা বিক্রির বায়না পেয়ে হাসি মুখে মনের আনন্দে কারিগরি দেবতা তথা বিশ্বকর্মা ঠাকুরকে তৈরি করেছেন মৃৎশিল্পীরা। বিশ্বকর্মা পূজার পর মহালয়ার পূণ্য তিথিতে দেবী দুর্গার বোধন শুরু হবে এবং মাতৃ পক্ষের সূচনা হবে তার সাথে সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কলকারখানা সহ ক্লাব, বারোয়ারী ও বনেদি বাড়ি, বিভিন্ন জায়গায় বিশ্বকর্মা পূজা ও দূর্গাপূজা হবে আর তাতেই এই আনন্দ জোয়ারে গা ভাসাবেন আপামর বাঙালি। তাই তার আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন কুমোরটুলিতে কারিগরি দেবতা তথা বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির শেষ প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে। দিনরাত এক করে ঘেমে নেয়ে প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন মৃৎশিল্পীরা। তাদের ঘরে এখন শুধুই ব্যস্ততা প্রতিমা তৈরীর জন্য।