নিজস্ব প্রতিনিধি সম্পা ঘোষ :সম্প্রতি বেহালা অঞ্চলের জনকল্যাণ শশীভূষণ স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বৈতান পত্রিকার তৃতীয় বর্ষ ও সাহিত্যনির্ভর ম্যাগাজিন সাহিত্য সংগম-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান। একই সঙ্গে আত্মপ্রকাশ ঘটল ইংরেজি ক্যালেন্ডার ২০২৫-এর।
এই গৌরবময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা—ডক্টর অরিজিত কুমার নিয়োগী, ফ্যাশন ডিজাইনার রিতা মাইতি, জয়ন্ত দাস গুপ্ত, ডক্টর নীল সেনগুপ্ত, আত্মজ্যোতি মিত্র, ফ্যাশন ডিজাইনার কল্যাণ ভান্ডারী, রেড ওয়াইন এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার অভিজিৎ গুপ্ত, ফটোগ্রাফার প্রতাপ দাশগুপ্ত, ডক্টর দীপা দাস, রিতেশ ঘোষ, সোমা দাস, রঞ্জিতা ভট্টাচার্য, পৃথা ঘোষ সহ আরও অনেকে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউনিক প্রসেন, কুশানি ক্রিয়েশন, কৃষ একাডেমি, রোমিও গ্রাফি, সন্দীপ পাইন এবং অসংখ্য মডেল ও ডিজাইনার।
এবারও বৈতান পত্রিকা বিশেষ সম্মান অর্জন করেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও পত্রিকাটি পেয়েছে স্বনামধন্য অভিনেত্রী সাবিত্রী চ্যাটার্জি ও দেবরাজ মুখার্জি-র শুভেচ্ছা বার্তা। এবছর আরও যুক্ত হয়েছেন অভিনেতা সুদীপ মুখার্জী ও অভিনেত্রী মৌবনী সরকার। কর্ণধার জানিয়েছেন, এস ফটোগ্রাফি ও পিআরএস এন্টারটেইনমেন্ট সাহিত্যের প্রচারে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে, যেখানে কবিতা ও গল্পকে ফটোশুটের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন হালিশহরের ‘মিদা ব্যান্ড’-এর গায়ক সৌরভ শর্মা। সাধারণ সম্পাদক ডক্টর পবিত্র কুমার সাহা জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ছিল। এখানে স্থান পেয়েছে কবিতা, গল্প, ফটোশুট, সুস্বাদু খাবার এবং বিভিন্ন প্রবন্ধ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বারাসাতের জনপ্রিয় ফ্যাশন শো “পাওলি ফ্যাশন শো”-এর কর্ণধার দ্বীপ দত্ত ও খুশি দত্ত। এককথায়, সেদিন জনকল্যাণ শশীভূষণ স্কুল চত্বরে যেন সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ফ্যাশনের মিলনমেলা বসেছিল।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কর্ণধার সুতীর্থ চ্যাটার্জি, রাজদীপ ছেত্রী, শালিনী দাস এবং মডারেটর সিমন মিত্র, দীপঙ্কর মজুমদার ও রিক সরকার। তারা জানান, এমন সফল আয়োজন করতে পেরে তারা অত্যন্ত আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী মডেল, মেকআপ আর্টিস্ট, ডিজাইনার ও ফটোগ্রাফারদের সম্মাননা স্বরূপ সার্টিফিকেট ও মেমেন্টো প্রদান করা হয়। বৈতান পত্রিকার তৃতীয় বর্ষের কভার পেজ অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়, যা দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে চিত্রশিল্পী কনক কান্তি ভট্টাচার্য ও প্রসেনজিৎ সেনগুপ্ত-কে।
সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব সংমিশ্রণের সাক্ষী রইল এই সন্ধ্যা, যা ভবিষ্যতে বৈতান পত্রিকাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।