নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে শ্রীলংকা। আগামী মাসের মধ্যেই সমস্ত স্থানীয় নির্বাচন স্থগিত হয়ে যেতে পারে ওই দেশে। জানিয়েছেন দেশের এক শীর্ষ পদাধিকারী। মঙ্গলবার ভোটের দাবিতে বিরোধীদের বিক্ষোভে উদ্ধার হয়ে ওঠে সংসদ আর সেই কারণেই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে অধিবেশন।আগামী মার্চ মাসে ভোট হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায় ভোট হলেই পরিষ্কার হয়ে যেত রাষ্ট্রপতি হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহ সত্যিই যোগ্য কিনা। তীব্র আর্থিক সংকটে ভোগা এই দ্বীপ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি হিসেবে গত বছর জুলাই মাসে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী শ্রীলংকার কোষাগারে ব্যালট ছাপার মতো টাকা পর্যন্ত নেই।পোলিং বুথের খরচ এবং পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তাও নেই। তাই এই সময়ে ভোটের মতন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান আধিকারিক জানিয়েছেন সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে দেশের যা পরিস্থিতি তাতে এখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যাবে।
অথচ সবদিক পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে নির্বাচন করা কোনভাবেই সম্ভব নয় কারণ তাতে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সেই অর্থের যোগান দিতে পারবে না শ্রীলঙ্কা সরকার। উল্টে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নানান রকম সমস্যায় পড়তে হবে দেশকে।রাষ্ট্রপতি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এখন নির্বাচন কার্যত অসম্ভব। পেনশন বেতন রাজস্ব কোন খাত টানতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। এই সময়ে নির্বাচন করা বোকামি। আর্থিক দুর্নীতির কারণে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে এমনকি রাষ্ট্রপতি ভবনে দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ।
7অন্যদিকে বর্তমান রাষ্ট্রপতির এই আচরণের মধ্যে বিরোধীরা অগণতান্ত্রিক নিয়মের ছায়া পেয়েছেন। সেই দাবিতেই মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। বিরোধীদের দাবি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছেন বিক্রম সিংহ সেই জন্য তিনি এই ধরনের দূরভিসন্ধি করছেন।