Sunday, September 15, 2024
Homeখবরভালোবাসার নাম অরিজিৎ!’ ফেসবুক পোস্ট করে সেতু থেকে মরণঝাঁপ সদ্যবিবাহিত যুবকের

ভালোবাসার নাম অরিজিৎ!’ ফেসবুক পোস্ট করে সেতু থেকে মরণঝাঁপ সদ্যবিবাহিত যুবকের

নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): ফের দ্বিতীয় হুগলি সেতুর থেকে ঝাঁপ দিলেন এক ব্যক্তি। সোমবার সকাল ৬টা ২০ নাগাদ এই ঘটনা হয়। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কলকাতা অংশের প্রথম পিলারের বাইক দাঁড় করিয়ে তিনি ঝাঁপ দেন। মৃতের নাম অরিজিৎ দাস (২৬)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে মোবাইলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অরিজিৎ। জানা গিয়েছে রবিবার সন্ধে ৭টা নাগাদ নিজের বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরনোর পর সে আর ফিরে আসেনি। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ বছর পাটুলীর বাসিন্দা প্রিয়াম্পি দত্তের সঙ্গে অরিজিতের প্রেম ছিল। গড়িয়ার বরদাপ্রসাদ স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তাঁদের বিয়ে হয় বলে জানা গিয়েছে। রাত হয়েও যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরার অরিজিতকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন তাঁর মা ও স্ত্রী। তাঁদের দ্রুত ফিরে আসার কথা জানিয়েছিলেন এই যুবক।
মৃতের বন্ধু সৌম্য সেন এই প্রসঙ্গে বলেন, “কাল রাত দেড়টা অবধি আমাদের সঙ্গে ছিল। আমি দীর্ঘদিন পর বাইরে থেকে কলকাতায় ফিরি। রাত সাড়ে দশটনা নাগাদ ও নিজেই আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। আমি দেখেই বুঝে ছিলাম যে কোনও কারণে ওঁর মন-মেজাজ খারাপ। সকালে উঠে জানতে পারি যে আমার ফ্ল্যাটের নীচে ভোর পাঁচটার সময় এসেছিল। সকালে আত্মঘাতী হওয়ার খবর পেলাম। আমাদের একটা অনুরোধ যেন ওঁর দেহ যে তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করা হয়।”
বন্ধুদের সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিনই তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আড্ডা মারলেও সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁকে হতাশ লাগছিল। সে কীভাবে আত্মহত্যা করল, তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না পরিবার। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে, সেতুতে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তির নাম হায়াত আলি। তিনি বলেন, ‘আমি সেতু দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটি বাইক দাঁড় করিয়ে ওই ব্যক্তি সেতুর রেলিং-এর ধারে চলে গিয়েছেন। আমি বুঝতে পারি ওই ব্যক্তি নদীতে ঝাঁপ দিতে চলেছেন। আমি তাঁকে ঝাঁপ দিতে বারণ করে হাত ধরি। কিন্তু তিনি হাত ছড়িয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন।’ তাঁর আপসোস,’একটু আগে এলে হয়তো ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো যেত।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments