নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়):নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে চাকরি হারানোর ফলে বিয়ে ভেঙে গেল এক যুবকের। ঘটনাটি জলপাগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের চেংমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। প্রণব নামের এক যুবক ২০১৭ সালে রাজডাঙা কেন্দা মহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লার্কের চাকরিতে যোগ দেন। কিছুদিন আগেই তার বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ে উপলক্ষে ৬ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত ছুটি নেন তিনি।কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না,হাইকোর্টের নির্দেশে সব ওলটপালট হয়ে গেল৷সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ছিল প্রণবের বিয়ে, আর রবিবার বৌভাত৷ শুক্রবার বিকেলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণার পরেই কার্যত সানাইয়ের সুর বিষাদে পরিণত হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাতিল হওয়া গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের তালিকায় প্রণব রায়ের নাম রয়েছে ৪৫১ নাম্বারে।এই খবরে বাজ ভেঙে পড়ে প্রণবের পরিবারের মাথায়৷দেখা যাচ্ছে ওএমআর শিটে প্রণবের প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ১৭ নম্বর কিন্তু সেটাকেই বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৫২। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির জাল যে কত দূর ছড়িয়ে রয়েছে ,তার নাগাল পেতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে ED ও সিবিআই কে। এই দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম বাংলার রাজ্য রাজনীতি।
গত শুক্রবার গ্রুপ সি’র ৮৪২ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রায় বেরহওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ওয়েটিং লিস্ট থেকে এইসব শূন্যস্থান পূরণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, যেসকল গ্রুপ সি কর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাদের কারও নম্বর বাড়ানো হয়েছে,আবার কারও অদ্ভুতভাবে ওএমআর শিটে নম্বর বেশি দেওয়া থাকলেও সার্ভারে কম নম্বর আপলোড করা হয়েছে। অর্থাৎ যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে,অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই নম্বরের গোলযোগ হয়েছে।