নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়):জেলা সভাপতি এবং ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ২ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তৃণমূলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়বেন নির্দল হয়ে। বৃহস্পতিবার এমন হুঁশিয়ারিই দিলেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর বিধানসভার বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। নিজেকে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক হিসাবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। দলের এক জন বিধায়ক হয়ে আব্দুল করিমের এ হেন মন্তব্য ‘অপ্রত্যাশিত’ বলেই মনে করছে তৃণমূল।
বুধবার রাতে হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ইসলামপুরের মাটিকুণ্ডা। স্থানীয়দের বড় অংশের দাবি, ওই অশান্তি আসলে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জের। ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুও হয়। যে ঘটনায় সরাসরি দলের জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতির দিকে আঙুল তুলেছেন, তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। সঙ্গে দলনেত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে শোনা যায় তাঁকে।
আব্দুল করিমের অভিযোগ, ‘‘জেলা সভাপতি কানহাইয়া আগরওয়াল নিজের লোক জাকির হোসেনকে ব্লক সভাপতি রেখেছে সন্ত্রাস করার জন্য। খুনখারাপি করছে। আইসি কিছু করতে পারছে না। প্রশাসন বলছে, আপনারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করবেন আমরা কী ব্যবস্থা নেব?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মমতা’দি চুপচাপ বসে আছেন কেন? এটা করিম চৌধুরীর এলাকা বলে? আপনি আমাকে শেষ করে দিন। আমার কোনও কথা শুনতেই চান না আপনি। আমার ভাল লাগছে না মমতা’দি। এটা ডাইরেক্ট (সরাসরি) আপনাকে বলছি প্রেসের (সংবাদমাধ্যম) মাধ্যমে। এটা বন্ধ করুন। এটা ঠিক নয়। সারা পশ্চিমবাংলায় আপনার দলের বিরুদ্ধে ঘৃণা চলে আসবে। আপনি সন্ত্রাসবাদী লোকগুলিকে রেখেছেন। প্লিজ় স্টপ ইট। আমি আপনাকে বলছি মমতা’দি। আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ক্ষিপ্ত আব্দুল করিমের মন্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, আপনি যদি ২ দিনের মধ্যে কানহাইয়ালাল আগরওয়াল এবং জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেন তা হলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। আবার লড়ব আমি নির্দল প্রার্থী হিসাবে। চ্যালেঞ্জ থাকল আমার।’’
কানহাইয়ালাল এবং জাকিরকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমাদের সংগ্রামী নেত্রী আমাকে ভালবাসেন। তাঁকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে এরাই। আমি ক্ষমা করব না। বিধানসভায় আমাকে হারানোর চেষ্টা করেছিল। করিম চৌধুরীকে দমাতে হবে এই সন্ত্রাসবাদী নেতাদের হাত দিয়ে? সংগঠনের সভাপতিকে রাখার জন্য আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হচ্ছে। ঠিক আছে, যদি এই ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তা হলে আমি ইস্তফা দিয়ে দেব।’’