নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটে নয়া সংযোজন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও এর আগেই ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট উপাধি দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে এই সম্মান পেয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৮ -র পর ২০২৩। ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট সম্মানে ভূষিত করল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও এই সম্মান জনসাধারণের জন্য উৎসর্গ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিগত দিনে যখন মুখ্যমন্ত্রী ডিলিট উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন সেই সময় এই সম্মান নিয়ে তৈরি হয়েছিল নানান বিতর্ক। যথেষ্ট জলঘোলাও হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট উপাধি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মুখ্যমন্ত্রীমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “বাংলার পড়ুয়ারাই বাংলার ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে যে ঐতিহ্য তৈরি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের মতো মনীষীরা। আজ সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় যে সম্মান মুখ্যমন্ত্রীকে দিল তাতে আমরা সবাই খুশি। তিনি আমার সাংবিধানিক সহকর্মী। যদিও এই সম্মান তিনি নিজের যোগ্যতাতেই পেয়েছেন। তিনি এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। রাজনীতিতে সাফল্যের জন্য নয়, রাজ্যের মানুষের কাছ থেকে এই সম্মান তার জন্য। ডক্টরেট অফ লিটারেচার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্য ছিল। যে সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা রাজনীতির সঙ্গে সাহিত্যে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তাদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম। ঠিক যেমন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রীও যুক্ত। শিক্ষার মধ্যে
রাজনীতি ঠিক না থাকলেও রাজনীতির মধ্যে শিক্ষা খারাপ নয়।