নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকেও গ্রেফতার করেছিল ইডি।প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে মনোনিত হন মানিক ভট্টাচার্য। গতবছর তৃণমূলের তরফে বিধায়ক পদ পান তিনি। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তিনি।আপাতত রয়েছেন শ্রীঘরে।CBI ও ED দু’ই কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে রয়েছেন তিনি। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যকে আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর ইডির বিশেষ আদালতে তাদের হাজিরা দিতে বলা হয়।এখানে আগাম জামিনের আবেদন জানান তারা যা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।সূত্রে খবর শৌভিক পড়াশুনার কারণে প্রায়শই বিদেশ যাত্রা করে,এই কারনেই হয়তো তাদের জামিন দিতে নারাজ আদালত। অন্যদিকে সোমবার তদন্তকারী সংস্থাকে মানিক ভট্টাচার্যের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
দেশে ও বিদেশে মানিকের নামে যত সম্পত্তি আছে, তা আপাতত বাজেয়াপ্ত করা হবে।নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অথবা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)- এর হাতে রয়েছে মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার।
মামলাকারী শাহিলা পারভিন ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থী।তার অভিযোগ, পরীক্ষা দিলেও তার ফলাফল এখনো জানতে পারেননি তিনি। পরীক্ষার নম্বর জানতে RTI ও করেন,তাও কোনো উত্তর আসেনি। মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি শাহিলাকে অন্য একজনের ওএমআর শিট দেখান,ফলে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মামলাকারী।
এই মামলার শুনানির পর মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু মানিক সেই টাকা এখনও দেননি।তাই সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন যত দিন না মানিক জরিমানার টাকা দিচ্ছেন, তত দিন পর্যন্ত তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত থাকবে তদন্তকারী সংস্থার হাতে।