নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে বদলির পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মনমালিন্য হয়েছিল, তবে বুধবার সন্ধ্যায় এই মনমালিন্য শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, যাতে নন্দিনী চক্রবর্তীকে পর্যটন বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।সিভি আনন্দ বোস নবান্নের কাছে নন্দিনী চক্রবর্তীকে প্রধান সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে নীরবতা পালন করেছিল। তার সঙ্গে বাড়তে থাকে বিবাদ। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল প্রাক্তন সিবিআই অফিসার রাকেশ আস্থানাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে চান। কিন্তু আপত্তি করেন নন্দিনী চক্রবর্তী।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজভবন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তীকে। তাকে পর্যটন দফতরের মুখ্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নন্দিনী চক্রবর্তী এর আগেও এই পদে কাজ করেছেন।
বুধবার রাজ্য সচিবালয় নবান্ন নন্দিনী চক্রবর্তীর বদলি সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করেছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নন্দিনী পর্যটন বিভাগে ওই পদে বহাল থাকবেন। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের এই আমলাকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছিল। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী দীর্ঘ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে নিয়ে আলোচনা হয়। এর পর বুধবার নবান্ন আনুষ্ঠানিকভাবে নন্দিনী চক্রবর্তীকে অপসারণের ঘোষণা দেয়।
সোমবার জানা গেছে, নন্দিনী চক্রবর্তীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। তা সত্ত্বেও সে অফিসে যাচ্ছিল। বুধবার নির্দেশনা জারি হওয়ার পর অচলাবস্থা কেটে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লক্ষণীয়,
রাজ্যপালের প্রতীকী অনুষ্ঠানের পর বিরোধী দলের নেতারা নন্দিনী চক্রবর্তীকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেন। বিজেপি নেতারাও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলেছেন। রাজভবন থেকে নন্দিনীকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য সরকার এই বিষয়ে শালীনতা দেখিয়েছে। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের প্রতি সৌজন্য দেখান। একজন যোগ্য আধিকারিককে অপসারণ করায় রাজভবনের বদনাম হয়েছে। একজন মহিলাকে অপমান করা হয়েছে। বাকিটা রাজভবন ও রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ব্যাপার। এ বিষয়ে বলার কিছু নেই। রাজ্যপাল এটা করতে পারেননি বলে দাবী কুনালের। গত শনিবার সকালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাথে রাজ্যপালের বৈঠকের পর রাজভবনে তত্পরতা শুরু হয়।