নিজস্ব প্রতিনিধি(রজতরায়)বিজেপি নেতানেত্রীদের একাংশ বারবার ‘আবাস যোজনা’ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে। একাধিক জনসভাতেও আবাস দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু সেই অভিযোগকারী নেতানেত্রীদের মুখ পুড়িয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, আবাসে কাটমানি বা ঘুষ নেওয়ার কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এই প্রকল্পে যতগুলি বাড়ি অনুমোদন বা বাতিল হয়েছে, সবই হয়েছে নিয়ম মেনে।
এর আগে আবাস যোজনায় নবান্নের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়িয়েছিল এরাজ্যের প্রধান শাসক দল বিজেপি। সেই অভিযোগের জবাবে নবান্ন ও তৃণমূল কংগ্রেস গোড়া থেকেই বলে আসছিল, দুর্নীতির প্রশ্নই নেই। যা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নিয়ম মেনেই হয়েছে। রবিবার রাজ্য ও রাজ্যের শাসক দলের সেই দাবিতেই কার্যত সিলমোহর দিল মোদী সরকার। যার ভিত্তিতে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যে অভিযোগ করার আঙুল তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস।
একইসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, স্রেফ রাজনীতির জন্য রাজনীতি করতেই ময়দানে নেমেছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। কেন্দ্রীয়
সরকারের চিঠিতেই তা প্রমাণ হয়ে গেল। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের চিঠি পাওয়ার পর এবার আবাস যোজনার বকেয়া বরাদ্দ চেয়ে পালটা চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি রাজ্য সরকার শুরু করেছে। পাশাপাশি এই মিথ্যে অভিযোগকারী নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তার পরামর্শ চাইবে নবান্ন । রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ”ওই চিঠির প্রেক্ষিতে যা বলার বিধানসভায় বলব।” প্রদীপবাবুর সরস রসিকতা, ”কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, এমনকী এফআইআর (FIR)করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দল যখন কোনও দুর্নীতির হদিশই পেল না, তাহলে কি ধরে নেব মিথ্যে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র?”
এই ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড়সড় স্বস্তি পেল তৃণমূল কংগ্রেস। যে স্বস্তিকে বিরোধীদের অভিযোগের কাঠগড়ায় থাকা তৃণমূল বড় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে।