নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশকুমার): মুসলিম ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠল যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ বিহারের এক মানবাধিকার কর্মী। , রবিবার চৌহাতান পুলিস স্টেশনে যোগগুরু বাবা রামদেবের নামে এই এফআইআর দায়ের হয়। অন্যের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করা, সাম্প্রদায়িক বোঝাপড়ায় পারস্পরিক বিদ্বেষ তৈরির আবহ তৈরির অপরাধে এই এফআইআর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার রাজস্থানের বারমেরে একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন রামদেব । সেখানেই মুসলিম সম্প্রদায়কে কাঠগড়ায় তুলে তীব্র আক্রমণ করেন। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানো থেকে হিন্দু মহিলাদের অপহরণের অভিযোগ তোলেন। বলে দেন, হিন্দুদের থেকে এধরনের প্রবণতা ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অনেক বেশি। আর এতেই তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এই কারণেই যোগগুরুর বিরুদ্ধে বিহারের মুজাফ্ফরপুরের একটি আদালতে রামদেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী তামান্না হাশমি। তিনি বলছেন, “মুসলিম ও ইসলামের বিরুদ্ধে রামদেবের মন্তব্য একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এই সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।’তামান্নার আরও দাবি, সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এধরনের মন্তব্য করেছেন পতঞ্জলি সংস্থার প্রধান। তাঁকে ‘উগ্রপন্থী’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তামান্না। ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্মকে খাটো করে হিন্দু ধর্মই সেরা বলে প্রচার করার চেষ্টা করেছেন রামদেব। তাঁর এহেন মন্তব্যে হিংসা আর বিদ্বেষই ছড়িয়ে পড়বে সমাজে, বাড়বে ক্ষোভ। সেই কারণেই তিনি আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তামান্না। আদালতে এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি ১৬ ফেব্রুয়ারি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রামদেবের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিয়োতে রামদেব বলেছেন, ‘কাউকে নিশানা করছি না, কিন্তু কিছু লোকের কথাই হল, তারা গোটা দুনিয়াটাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা দেবে। অন্য একটি দল চায়, তারা গোটা দুনিয়াটাকে খ্রিস্টান ধর্মের আওতায় আনবে। ওরা জঙ্গি হয়, অপরাধী হয় কিন্তু নামাজ পড়ে। অন্য দিকে, সনাতন ধর্ম মানুষকে শিক্ষা দেয়– হিংসা করো না, অসৎ হোয়ো না; খুব সকালে উঠে পড়ো, প্রার্থনা করো, যোগাভ্যাস করো।’