নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): আজকের আধুনিক যুগেও আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি যেমন পুলিশের গাড়ি,ট্রেন,সরকারি অফিস,হাসপাতাল ভাঙচুর হতে দেখা যায়।এটি খুবই নিন্দনীয় ঘটনা।এইসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের পথে হাঁটলো রাজ্য সরকার ।মঙ্গলবার বিধানসভায় পাশ হল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার (সংশোধনী) আইন।এই আইনে বলা হয়েছে যে আন্দোলন বা অশান্তির নাম করে রাজ্য সরকারের অথবা অন্য কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করলে অপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।অন্যদিকে বিরোধীরা জানিয়েছে,’২০১৯ সালে CAA বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে প্রথম এই ধরনের আইন আনে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার।সেটির থেকেই কপি করে বানানো এই আইন।’ প্রত্যুত্তরে রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বাংলার এই ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার (সংশোধনী) উত্তরপ্রদেশের আইনের থেকে অনেকাংশেই আলাদা।
কোনোকিছু ঠিকমতো না জেনে বেফাঁস মন্তব্য করা উচিত নয়। তিনি আরো বলছেন যে এই আইনে রাজ্য সরকার চাইলেও যে কারও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না। একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে কাজটি হবে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে সম্পত্তি সিজের আবেদন করা হবে।কোনোকিছু ঠিকমতো না জেনে বেফাঁস মন্তব্য করা উচিত নয়। তিনি আরো বলছেন যে এই আইনে রাজ্য সরকার চাইলেও যে কারও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না। একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে কাজটি হবে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে সম্পত্তি সিজের আবেদন করা হবে।
১৮০ দিনের মধ্যে অন্তর্বতী রিপোর্ট জমা করতে হবে।এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আর যদি রাজ্য সরকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ১৮০ দিনের মধ্যে তা প্রমাণ করতে না পারে তাহলে অভিযুক্তকে সম্পত্তি ফেরত দিতে হবে অথবা ৬ মাসের মধ্যে সেই সম্পত্তি নিলাম করে ক্ষতির টাকা পূরণ করতে হবে।