Sunday, September 15, 2024
Homeখবররাজ্যের সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে অভিযুক্তের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে, পাশ হলো...

রাজ্যের সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে অভিযুক্তের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে, পাশ হলো বিল

নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): আজকের আধুনিক যুগেও আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি যেমন পুলিশের গাড়ি,ট্রেন,সরকারি অফিস,হাসপাতাল ভাঙচুর হতে দেখা যায়।এটি খুবই নিন্দনীয় ঘটনা।এইসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের পথে হাঁটলো রাজ্য সরকার ।মঙ্গলবার বিধানসভায় পাশ হল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার (সংশোধনী) আইন।এই আইনে বলা হয়েছে যে আন্দোলন বা অশান্তির নাম করে রাজ্য সরকারের অথবা অন্য কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করলে অপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।অন্যদিকে বিরোধীরা জানিয়েছে,’২০১৯ সালে CAA বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে প্রথম এই ধরনের আইন আনে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার।সেটির থেকেই কপি করে বানানো এই আইন।’ প্রত্যুত্তরে রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বাংলার এই ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার (সংশোধনী) উত্তরপ্রদেশের আইনের থেকে অনেকাংশেই আলাদা।
কোনোকিছু ঠিকমতো না জেনে বেফাঁস মন্তব্য করা উচিত নয়। তিনি আরো বলছেন যে এই আইনে রাজ্য সরকার চাইলেও যে কারও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না। একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে কাজটি হবে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে সম্পত্তি সিজের আবেদন করা হবে।কোনোকিছু ঠিকমতো না জেনে বেফাঁস মন্তব্য করা উচিত নয়। তিনি আরো বলছেন যে এই আইনে রাজ্য সরকার চাইলেও যে কারও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না। একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে কাজটি হবে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে সম্পত্তি সিজের আবেদন করা হবে।
১৮০ দিনের মধ্যে অন্তর্বতী রিপোর্ট জমা করতে হবে।এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আর যদি রাজ্য সরকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ১৮০ দিনের মধ্যে তা প্রমাণ করতে না পারে তাহলে অভিযুক্তকে সম্পত্তি ফেরত দিতে হবে অথবা ৬ মাসের মধ্যে সেই সম্পত্তি নিলাম করে ক্ষতির টাকা পূরণ করতে হবে।

Previous article
নিজস্ব প্রতিনিধি(অর্পিতা): সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় অনেক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে আদালত। তদন্তও চলছে জোরকদমে।এই পরিস্থিতির মধ্যেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড়সড় রথবদল ঘটানো হলো।প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রবর্তিত নিয়মের পরিবর্তে ফেরানো হল বাম আমলের নিয়ম।সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।বাম আমলেও এই নিয়মই চালু ছিল। কিন্তু, ২০১৮ সালে নিয়ম পরিবর্তন করা হয়। তথকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা দফতর। সেই নিয়মই পরিবর্তন করা হল সোমবার। ইতিমধ্যেই সিবিআই ও ইডির যৌথ উদ্যোগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ,প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-সহ একাধিক আধিকারিককে। বাম শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, বাম জমানায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল,পরীক্ষার্থীদের মেধার ওপর ভিত্তি করেই নিযোগ করা হতো। তৃণমূল আমলে তা পৌঁছেছে এক ভিন্ন মেরুতে। তাঁদের মতে, আবার সেই বাম আমলের নিয়ম ফেরানোয় ‘সুমতি’ ফিরেছে সরকারের।’ নিয়োগে দুর্নীতির জেরেই নাজেহাল হয়েই কি নিয়মে বদল?’ প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
Next article

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments