নিজস্ব প্রতিনিধি(রজত রায়): রামনবমীর মিছিল ঘিরে রিষড়ায় অশান্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দুর্বৃত্তদের কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলল তৃণমূল।
রাজভবন সূত্রে খবর, রিষড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল । দু’জনের মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ কথাবার্তা হয়েছে। এরপরই বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল জানান, ”গুণ্ডা ও দুর্বৃত্তদের লৌহকঠিন হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।” অশাস্তি যাতে আর না ছড়ায়, তার জন্য ইতিমধ্য়েই জারি হয়েছে ১৮৮ ধারা। বন্ধ করা হয়েছে রিষড়ার ইন্টারনেট পরিষেবাও।
রবিবার রামনবমীর মিছিল ঘিরে ব্যাপক ইটবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শ্রীরামপুরে বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক। অশান্তির জেরে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় বিজেপি সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। যদিও নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সময়মতো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বড় কোনও বিপদ হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক।
তবে এই অশান্তির জন্য বিজেপিকেই পালটা নিশানা করেছে শাসক দল। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলে দেন, দিলীপ ঘোষ তথা বিজেপির মদতেই অশান্তি ছড়িয়েছে। এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন মিছিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছে গেরুয়া শিবির। এবারও একই ঘটনা ঘটানো হল।
রাজ্যভবন সূত্রে খবর, রিষড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল।
দু’জনের মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ কথাবার্তা হয়েছে।
এরপরই বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল জানান, গুণ্ডা ও দুর্বৃত্তদের লৌহকঠিন হাতে দমন করা হবে।