>নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): আইপিএলের (IPL) প্রথম ম্যাচেই প্রকাশ্যে চলে এল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং বিভাগের দুর্বলতা। প্রথমবার মাঠে নেমেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ল নাইটদের টপ অর্ডার। ফলস্বরূপ বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শিখর ধাওয়ানের পাঞ্জাব কিংসের কাছে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৭ রানে হারতে হল নাইটদের।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গোড়া থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিল পাঞ্জাব কিংস। সাউদি, বরুণ চক্রবর্তীরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও রানের গতি কমানো সম্ভব হয়নি। নাইটদের সামনে জয়ের জন্য ১৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় পাঞ্জাব। পাঞ্জাবের হয়ে ভানুকা রাজাপাক্ষা অনবদ্য ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক ধাওয়ান খেলেন ৪০ রানের ঝকঝকে ইনিংস। নাইটদের হয়ে বল হাতে নজর কাড়েন বরুণ চক্রবর্তী। ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট পান তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রায় তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে নীতীশ রানার নেতৃত্বাধীন কলকাতার টপ-অর্ডার। ৫০ রান তুলতে গিয়েই তিন উইকেট হারায় কলকাতা। অধিনায়ক নিজে খানিকটা হাল ধরা চেষ্টা করলেও ব্যক্তিগত ২৪ রানের মাথায় ফিরতে হয় তাঁকে। এরপর নাইট সংসারের হাল ধরেন আন্দ্রে রাসেল ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার । মূলত তাঁদের লড়াইয়ের দরুণ খানিকটা অক্সিজেন পায় নাইট শিবির। তবে শেষরক্ষা হল না। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ফেরেন রাসেল, তারপরেই ৩৪ রানে ফিরে যান ভেঙ্কটেশ। নাইটদের জয়ের আশা কার্যত শেখানেই শেষ হয়ে যায়। তবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন শার্দূল ঠাকুর ও সুনীল নারিন। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার আগে কলকাতার স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১৪৬। শেষ ২৪ বলে দরকার ছিল ৪৬ রান।
কলকাতার ইনিংসের ১৬ ওভারের পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, সন্ধে ৭টা ৫৪ মিনিটের মধ্যে খেলা শুরু করা গেলে ওভার সংখ্যা কমত না। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির জন্য ৭টা ৪৫ মিনিটে খেলা শেষ বলে ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এই সময় কলকাতাকে জিততে হলে ১৫৩ রান করতে হত। সেই হিসাবে ৭ রানে হেরে গেল নাইট রাইডার্স।